মো. আখতারুজ্জামান : [২] চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরসহ দেশের বিভিন্ন বন্দরে থাকা পণ্যবাহি কন্টেইনার খালাস করেত ১৭ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের এক নির্দেশনা দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ নির্দেশনা পাওয়ার পর শনিবার চিঠির মাধ্যমে সদস্যদের তাদের কন্টেইনার সরিয়ে নিতে বলেছে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ।
[৩] বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার ঘোষিত ছুটির কারণে আমদানিকারকরা পণ্য ডেলিভারি গ্রহণ না করায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ও দেশের অন্যান্য বন্দরে কন্টেইনারের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে বন্দরগুলোর নতুন কন্টেইনার নামানো বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
[৪] জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরের মোট কন্টেইনারের অর্ধাংশই বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ-এর সদস্যভুক্ত কারখানার। এ সমস্য নিরসনে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ-এর সদস্যদের আমদানি করা পণ্য গ্রহণ করে বিধানানুযায়ী তাদের বন্ডেড ওয়্যারহাউজে সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন- বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
[৫] বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বস্ত্র সেলের সহকারী প্রধান শামীমা আকতার স্বাক্ষর করা এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বন্দরের কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে সম্পাদনসহ বন্দরগুলো সচল রাখার স্বার্থে অতিসত্তর চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরসহ অন্যান্য বন্দরে আসা কন্টেইনারগুলো জরুরি ভিত্তিতে ডেলিভারি গ্রহণ করা প্রয়োজন। বন্ডেড ওয়্যারহাউজে সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হলো।
আপনার মতামত লিখুন :