মশিউর অর্ণবঃ [২] প্রথম দফার লকডাউনের মেয়াদ শেষ হলে সরকার তাদেরকে নিজ নিজ রাজ্যে ফেরানোর জন্য ট্রেনের ব্যবস্থা করবে, এমন গুজব শুনেই শ্রমিকরা মুম্বাই স্টেশনে ভিড় করেন।
[৩] শ্রমিকরা জানিয়েছেন, এখানে থাকার ফলে খাবার না পেয়ে তাদের করুণ অবস্থা এবং বাড়ি গেলে তারা অন্তত খেয়ে বেঁচে থাকতে পারবেন।
[৪] বিজেপি নেতাদের দাবি, এসব বিক্ষোভের পেছনে কোনো মহলের উস্কানি বা ষড়যন্ত্র রয়েছে।
[৫] মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফাডনভিস বলেন, এই বিক্ষোভ কিছুতেই স্বতঃস্ফূর্ত হতে পারে না। বিক্ষোভের ছবিগুলোতে দেখবেন শ্রমিকদের কারো সঙ্গে কোনো ব্যাগ পর্যন্ত নেই, অথচ তারা নাকি বাড়ি ফেরার জন্য বেরিয়েছেন।
[৬] বান্দ্রায় বিক্ষোভ করা শ্রমিকদের মধ্যে বেশিরভাগই মুসলিম হওয়াতে অনেকেই এর মধ্যে সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণও খুঁজে পাচ্ছেন।
[৭] অপরদিকে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা বলছেন, শ্রমিকদের এখনই নিরাপদে ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা না করলে আরো বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে।
[৮] মানবাধিকার কর্মী ও অ্যাক্টিভিস্ট কবিতা কৃষ্ণন বলেন, শ্রমিকরা করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য ক্যারিয়ার হলেও আমাদের মানবিক দিকটি দেখতে হবে। এরা এমন কিছু অসহায় মানুষ, যারা তাদের পরিবারের কাছে ফিরতে মরিয়া।
[৯] লকডাউনের মধ্যেও গুজরাট সরকার হরিদ্বারে আটকে পড়া তাদের রাজ্যের পর্যটকদের বিলাসবহুল বাসে করে ফিরিয়ে এনেছে।
[১০] ভারতের অ্যাক্টিভিস্টদের দাবি, করোনাভাইরাসের উপসর্গ পরীক্ষা করে এই শ্রমিকদেরও বিশেষ ট্রেন বা বাসে করে নিজ নিজ রাজ্যে ফেরানো উচিত। (সূত্রঃ আল জাজিরা, ইন্ডিপেন্ডেন্ট, ইন্ডিয়া টুডে)