শিরোনাম
◈ রাইসিকে বহনকারী বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ◈ রাইসির হেলিকপ্টারের অবস্থান শনাক্ত, উদ্ধারে সহযোগিতা করবে বিভিন্ন দেশ ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম, ভ‌রি এক লাখ ১৯ হাজার ৫শ টাকা ◈ রাইসির মৃত্যু হলে দায়িত্ব পাবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট, ৫০ দিনের মধ্যে নির্বাচন ◈ পুলিশকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে: আইজিপি ◈ ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার শিকার  ◈ বিএনপির নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানো সরকারের প্রধান কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ উপজেলায় ভোট কম পড়ার বড় কারণ বিএনপির ভোট বর্জন: ইসি আলমগীর  ◈ আত্মহত্যা করা জবির সেই অবন্তিকা সিজিপিএ ৩.৬৫ পেয়ে আইন বিভাগে তৃতীয় ◈ ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিখোঁজ এমপি, খুঁজে পেতে ডিবিতে মেয়ে

প্রকাশিত : ১৫ এপ্রিল, ২০২০, ০২:৩৬ রাত
আপডেট : ১৫ এপ্রিল, ২০২০, ০২:৩৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] কলকাতার নতুন ফ্ল্যাটে ওঠার আগেই খুনী মাজেদের ঠাঁই সাড়ে তিন হাত মাটির ঘরে

সালেহ্ বিপ্লব : [২] বঙ্গবন্ধু হত্যামামলায় ফাঁসি হয়েছে ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) মাজেদের। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরপরই তিনি দেশ থেকে পালান। ভারত হয়ে লিবিয়া ও পাকিস্তানে ঢুঁ মারেন। সেখানে নিরাপদ আশ্রয় না মেলায় আবার ভারতে।

[৩] ২০১২ সালে ভারতে ভোটার হন। পাসপোর্ট পান ২০১৭ সালে। ভারতে তার অবস্থান ও দেশে ফেরা নিয়ে তিন পর্বের ধারাবাহিক করেছে কলকাতার দৈনিক বর্তমান পত্রিকা। রিপোর্টের শেষ পর্বে প্রতিবেদক সুজিত ভৌমিক আরো জানান, মাজেদের আধার কার্ডও ছিলো।

[৪] রিপোর্টে বলা হয়, বাংলাদেশে ১৫৫২৩৮৭৯১৩  ও ০১৭১১১৮৬২৩৯ নাম্বরে প্রতিদিন কথা বলতেন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী আব্দুল মাজেদ। ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের অনুমান, মাজেদের পরিবারের সদস্যদের ফোনে আড়িপাতা পাততো বাংলাদেশের কোনো গোয়েন্দা সংস্থা। এভাবেই জানা যায় মাজেদের অবস্থান।

[৫] এরপর খুব সম্ভবত ভারতের কোনও গোয়েন্দা সংস্থার সাহায্য নিয়েছিলেন বাংলাদেশের গোয়েন্দারা। যদিও এনিয়ে কোনও সরকারই মুখ খোলেনি।

[৬] গোয়েন্দাদের বরাত দিয়ে ভারতীয় পত্রিকাটির প্রশ্ন, কলকাতায় কি কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির সাহায্য পেয়েছিলেন মাজেদ?

[৭]পার্ক স্ট্রিটের ভাড়া বাড়ি থেকে মাজেদের ভারতীয় পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। পার্ক স্ট্রিট থানা পুলিস ভেরিফিকেশন করার পর ২০১৭ সালে পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়েছে।

[৮] কলকাতায় স্ত্রীর নামে কেনা দুটি সিম কার্ড ব্যবহার করতেন মাজেদ । তার আধার কার্ড নাম্বার ৭৯৪১ ৯৫৯১ ২৮৬৪।

[৯]  স্ত্রী সেলিনা ওরফে জরিনা বেগম গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানান, ঘড়ির কাঁটা ধরে চলতেন মাজেদ। খেতে দিতে সামান্য দেরি হলেও রেগে আগুন হয়ে যেতেন।

[১০] মাজেদ নিখোঁজ রহস্যের তদন্তে নেমে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হয়েছেন, বেডফোর্ড লেনের বাড়ি থেকে বেরনোর পর তাকে কেউ জোর করে অপহরণ করেনি।

[১১]এমনিতে সুদের কারবার ও টিউশনির টাকায় সংসার চললেও সম্প্রতি তালতলা এলাকায় ২৫ লাখ টাকা দিয়ে একটি ফ্ল্যাট বুক করেছিলেন মাজেদ। ধারণা করা হচ্ছে, সম্ভবত বাংলাদেশ থেকে টাকা যেতো তার কাছে।

[১২] নতুন ফ্ল্যাটে পা দেয়ার আগেই দেশে ফিরে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন বঙ্গবন্ধুর এই অন্যতম হত্যাকারী। ১২ এপ্রিল তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। জনবিক্ষোভের আশংকায় তাকে নিজ বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিনে নেয়াই যায়নি। দাফন করা হয়েঠে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়, শ্বশুরবাড়িতে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়