আরিফ মাহবুব : মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করার অনুশীলনের বিকাশের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। কারণ মানসিক সুস্থতার অনুপস্থিতি যে কারও শারীরিক সুস্থতার অভাব পরিলক্ষিত হতে পারে। দুর্ভাগ্যক্রমে কোনো ম্যাজিক, ম্যাজিক পিল বা বিশেষ কোনো উপায় নেই যা কেউ মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধন করে। যারাই মানসিক স্বাস্থ্যকে সবল রাখতে ধারাবাহিকভাবে অনুশীলন করে যাচ্ছেন শুধু তারাই এই দুর্যোগের সময় নিজেকে শারীরিকভাবেও অনেকাংশে সুস্থ রাখতে পারেন। আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি কেবল আপনাকেই করতে হবে, আপনার চারপাশের বিশ্বকেও উন্নত ও সুস্থ রাখতে আপনাকেই এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলোকে প্রভাবিত করে, তাই ইতিবাচক মানসিক স্বাস্থ্যের সুবিধাগুলো উপলব্ধি করার সম্ভাবনাগুলো কল্পনা করুন, গান শুনুন, একটা ভালো বই পড়ুন, সুযোগ পেলে নিজেই একটা কবিতা আবৃত্তি করে ফেলুন। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে নিজে নিজ অনুশীলনের সুবিধাগুলো হলো বিশ্বজুড়ে মহামারী স্তরে রিপোর্টগুলো মানুষের মনের উপর দীর্ঘস্থায়ী চাপের কারণ যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে সেটা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
স্বভাবতই মানসিক চাপের কারণে স্মৃতিশক্তি হ্রাস, বিভ্রান্তি, কৌতুক অনুভুতি হ্রাস, ক্রোধ, খিটখিটে মেজাজ ও মানুষকে ভয়ের দিকে ধাবিত করে, স্পষ্টতই স্ট্রেস মস্তিষ্কের পক্ষে ভালো নয় এবং উন্নত মানসিক স্বাস্থ্য চর্চাগুলো ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে। বডি ফিটনেস বা ব্যায়াম এ দশকে গবেষণা করা হয়েছে যা কারও দেহের বিশেষ এবং ইচ্ছাকৃত যতœ নেওয়ার সুবিধাগুলো পরিলক্ষিত হয়। মানসিকভাবে সুস্থ থাকার ধারণাটি অগত্যা নতুন নয়, তবে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় অবশ্যই এর আরও বৃদ্ধি হওয়ার ক্ষেত্র রয়েছে, এ নিয়ে গবেষণা করেছেন গবেষকরা তবে এটি নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হলে মানসিকভাবে সুস্থ থাকার অনুশীলনটা নিজেকেই করতে হয়। আসুন নিজেদের মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে গান, আড্ডা, আবৃত্তিতে মেতে উঠি আর আপনিও সঙ্গে থাকুন। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :