লাইজুল ইসলাম: [২] করোনার প্রভাবে পোল্ট্রি, মৎস্য ও ডেইরি খাতের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজকে স্বাগত জানিয়েছে পোল্ট্রি শিল্পের কেন্দ্রিয় সংগঠন ‘বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল” (বিপিআইসিসি)।
[৩] বিপিআইসিসি’র সদস্যভুক্ত সংগঠন- ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএবি), ফিড ইন্ডাষ্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ফিআব), ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখার (ওয়াপসা-বিবি), এগ প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইপিএবি), এনিমেল হেলথ কোম্পানীজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আহকাব) এবং বাংলাদেশ এগ্রো ফিড ইনগ্রিডিয়েন্টস ইম্পোর্টার্স এন্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফিটা) আজ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা অত্যন্ত সময়োচিত এবং সুচিন্তিত।
[৫] এ প্রণোদনা প্যাকেজে পোল্ট্রি, ডেইরি ও মৎস্য খাতের জন্য ৪ শতাংশ সুদে যে ঋণ সুবিধা প্রদানের ঘোষণা দেয়া হয়েছে তা সারাদেশের পোল্ট্রি খামারি ও উদ্যোক্তাদের ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের চাহিদা পূরণ করবে এবং করোনা পরবর্তী সময়ে নতুন উদ্যমে পুনরায় খামার শুরু করতে উৎসাহ যোগাবে।
[৬] বিপিআইসিসি’র সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবে পোল্ট্রিখাত ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। প্রধানমন্ত্রীর এই প্যাকেজে আমরা খুশি। এ মুহুর্তে পুষ্টিকর খাদ্যের উৎপাদন অব্যাহত রাখা অত্যন্ত জরুরি। করোনার প্রভাবে এ শিল্পের প্রোডাকশন ও সাপ্লাই চেইনে যে ভয়াবহ নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে না পারলে ডিম, মুরগির মাংস, ফিড, একদিন বয়সী বাচ্চার উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।
[৭] মসিউর বলেন- প্রচন্ড দুশ্চিন্তা আর অনিশ্চয়তার মধ্যে কাটছে তৃণমূল ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারিদের প্রতিটি দিন। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ তাঁদেরকে নতুনভাবে বাঁচার আশা জাগিয়েছে। তবে সরকার ঘোষিত এ সহায়তা যেন দ্রুততম সময়ে এবং সহজ শর্তে খামারি ও উদ্যোক্তারা পেতে পারেন সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করতে হবে।