শিমুল মাহমুদ : [২] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, করোনা রোগীর শরীরে প্লাজমা এন্টিবডি তৈরির যে পদ্ধতি এটা দেশের বাহিরে পরীক্ষা মূলকভাবে চলছে। আমাদের দেশে এখনো কিছুই হয়নি। দেশে এটা করার প্রশ্নও আসে না। কারণ বাহিরে এটা যখন সফল হয়ে যাবে, তখন দেখা যাবে প্লাজমা সিরাপ বা ঔষধ হিসেবে পাওয়া যাবে।
[৩] দেশে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় কি ধরনের মেডিসিন ব্যবহৃত হচ্ছে জানতে চাইলে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আমিনুল হাসান বলেন, আমাদের ন্যাশনাল গাইডলাইন রয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুসরন করছি।
[৪] তবে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের (এনআইসিভিডি) ভারপ্রাপ্ত পরিচালক প্রফেসর আফজালুর রহমান বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী করোনা রোগীদের জন্য দুটি ঔষধ ব্যবহৃত হচ্ছে এর মধ্যে একটি হাইড্রোক্সোক্লোরোকুইন। তবে এ ঔষধ গুলো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মরামর্শ ছাড়া যেনো কেউ ব্যবহার না করে। এতে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।
[৫] ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ও ইউনিভার্সাল ফিভার (জ্বর) ক্লিনিকের কনসালটেন্ট ডা. আহমেদুল কবির বলেন, বিশ্বজুড়ে হাইড্রোক্সোক্লোরোকুইন পরিক্ষামূলকভাবে ব্যবহার হচ্ছে তবে এটার কোনো রেজাল্ট হাতে নেই। পরে যদি প্রমাণ হয় এ ঔষধটা খেলে রোগীরা ভালো হতো তাই আমরা রিকোমন্ডেশন দিয়েছি। যেসকল হাসপাতাল গুলোতে কোভিড-১৯ চিকিৎসা চলছে সেখানে এটা ব্যবহার হচ্ছে।
[৬] স্বচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম ও কোয়ান্টাম ল্যাব ইনচার্জ ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, ব্লাড থেকে প্লাজমা এন্টিবডি তৈরি যে কার্যক্রম সেটা আমাদের এখানে নেই। তবে চিকিৎসকার যখন প্লাজমা আলাদা করার ক্ষেত্রে যেটা ডিমান্ট করে আমরা তখন সেটা তৈরি করে দিয়ে থাকি।