রাশিদ রিয়াজ :[২] সারাদেশে বিভিন্ন মসজিদে দাওয়াতের কাজে থাকা তাবলিগের কর্মীদের নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের দুই অংশের নেতারা। মাওলানা সাদ ও তার বিরোধী মাওলানা জুবায়ের অর্থাৎ দুই পক্ষই তাদের সাথীদের নিজ নিজ এলাকায় অবস্থানের আহবান জানিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে অডিও বার্তা পাঠাচ্ছেন।
[৩] মাওলানা সাদবিরোধী অংশের আমির মাওলানা জোবায়ের এক অডিও বার্তায় তাবলিগ কর্মীদের বলেন, ‘এখন যে পরিস্থিতি, সে পরিস্থিতিতে ওলামাদের অনুসরণ করা চাই। আর যেসব পদক্ষেপ সরকার নিচ্ছে, সেগুলো যতক্ষণ শরিয়তের সীমার ভেতরে আছে, আমরা এটা অনুসরণ করবো। এমন কোনও পদক্ষেপ সরকার নেয়নি, যা ইসলামবিরোধী। ওলামায় কেরামও বলছেন মসজিদে ফরজ নামাজ পড়ে সুন্নত ও নফল বাসায় গিয়ে পড়তে। সেই হিসেবে আমরা আমাদের দেশে মসজিদে আমল আপাতত বন্ধ রাখতে বলছি। জামাতগুলোকে বাড়িতে ফিরে যেতে বলছি। আবার পরিস্থিতি ঠিক হলে সবাই সময় দেবে।’
[৪] করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মধ্যে দাওয়াতি কাজে ব্যস্ত থাকালে তাদের মাধ্যমে বা তারা যেসব মানুষের সংস্পর্শে আসছেন তাদের কাছ থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন, ভারতে একই ধরনের ঘটনা ঘটনায় বিষয়টি বিবেচনা করে এধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাবলিগ জামাতের বড় মুরব্বীদের করোনাভাইরাস উদ্ভুত পরিস্থিতিতে তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
[৫] রোববার রাতে বিষয়টি জানার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে তাবলিগ কর্মীদের বিষয়টি মোবাইল ফোনেও জানান অনেক মুরুব্বী। এছাড়া করোনাভাইরাসের কারণে গত সপ্তাহ থেকে নিজ নিজ এলাকায় আপাতত তাবলিগ অনুসারিরা ফিরতে শুরু করেন। তাদের বলা হয়েছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরে তাদের দ্বীনের দাওয়াতে ফিরে আসতে। তাবলিগের অধিকাংশ মুরুব্বী মনে করছেন এই পরিস্থিতিতে আলেম ওলামাগণ যে নির্দেশনা দিয়েছেন তার সাথে তারা একমত।
[৬] গত বছর দুই ভাগ হওয়া তাবলিগের এক অংশের নেতৃত্বে আছে মাওলানা জুবায়ের। অপর অংশে আছেন মাওলানা সাদ। করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের সাথে একমত দুপক্ষই। কাকরাইল মসজিদসহ বিভিন্ন স্থানে তাবলিগের কাজে আসা পাঁচ শতাধিক বিদেশিও আছেন। তাদের নিরাপদে মসজিদেই অবস্থান করতে বলা হয়েছে।