রাশিদ রিয়াজ : [২] মালয়েশিয়ার সাবাহ রাজ্যে করোনাভাইরাসের কারণে যে লকডাউন চলছে এর ফলে বিশ্বে ভোজ্যতেল সরবরাহ সংকটে পড়তে যাচ্ছে। কারণ ওই রাজ্যেই মালয়েশিয়ার সবচেয়ে বড় পামঅয়েল কোম্পানি অবস্থিত। ব্লুমবার্গ
[৩] মালয়েশিয়ার পাম অয়েল রিফাইনারি এ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান জামিল হারুন এক বিবৃতিতে বলেছেন, পাম ফল আহরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে রিফাইনারিতে ভোজ্যতেল উৎপাদন বন্ধ হয়ে আছে। এরফলে শুধু মালয়েশিয়া নয় যেসব দেশে এ ভোজ্যতেল রফতানি করে দেশটি তারাও সরবরাহে ঘাটতি মোকাবেলার জন্যে তৈরি থাকতে হবে।
[৪] করোনাভাইরাসের কারণে বাগান থেকে পাম ফল আহরণে যেতে চাচ্ছে না শ্রমিকরা। এরফলে রিফাইনারিতে লে অফ ঘোষণার উপক্রম হয়েছে। বিশে^ প্রায় ৭৬ মিলিয়ন টন পাম অয়েলের সিংহভাগ উৎপাদন করে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া।
[৫] শুধু সাবাহ প্রদেশে নয় দেশটির আরো ৬টি জেলায় বেশ কিছু শ্রমিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সেসব ভোজ্যতেল কোম্পানিতেও একই ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ ৬টি জেলাতেও আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন অব্যাহত থাকবে।
[৬] সাবাহ প্রদেশে পাম চাষ হয় সাড়ে ১০ লাখ হেক্টরের চেয়ে বড় বাগানে যা সিঙ্গাপুরের আয়তনের চেয়ে ২১ গুণ বড়।