মুসফিরাহ হাবীব: [২] সোশ্যাল মিডিয়ায় এ মুহূর্তে ট্রেন্ডিং ‘গেন্দাফুল’। ভারতীয় র্যাপ-সঙ্গীত সুরকার র্যাপার ও গায়ক বাদশাহর এ মিউজিক ভিডিওটি প্রকাশ পেতেই হইচই শুরু হয়। ‘বড়লোকের বিটি লো’ গানটির রচয়িতার নাম না নেওয়ায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে বাদশাহকে। এবার উপেক্ষিত এই শিল্পীকে প্রাপ্য সম্মান এবং সাম্মানিক দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেবেন বলেই জানালেন বাদশাহ।
[৩] ‘বড়লোকের বিটি লো, লম্বা লম্বা চুল, এমন চুলে বেঁধে দেব লাল গেন্দাফুল’- বাংলা এ লোকগীতিকে নিজের র্যাপ সঙ্গীতে ব্যবহার করে নতুন মোড়কে গানটি শ্রোতাদের কাছে নিয়ে এসেছেন বাদশাহ। কিন্তু এ গানের স্রষ্টা রতন কাহারের নাম না নেওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড়ের মুখে বাদশাহ শেষ পর্যন্ত এ নিয়ে কথা বলতে বাধ্য হলেন।
[৪] সোশ্যাল মিডিয়ায় বাদশাহ বলেন, “আমি গানটির রচয়িতার নাম খোঁজার চেষ্টা করেছি। কিন্তু খুঁজে পাইনি। ২৬ মার্চ আমি জেনেছি, রতন কাহারের নাম। আমি জানি তিনি একজন মহান শিল্পী। শুনেছি, তার অর্থনৈতিক অবস্থাও ভাল নয়। আমি তাকে সম্মান দিয়ে সাহায্য করতে চাই।” বাদশাহ জানান, “বড় লোকের বিটি লো”-র ক্ষেত্রেও তার কোনও খারাপ অভিসন্ধি ছিল না। তিনি বলেছেন, “লকডাউন না থাকলে আমি রতন কাহারের বাড়ি চলে যেতাম।”
[৫] এক কুমারী মায়ের সঙ্গে রতন কাহারের পরিচয় ঘটার পর তার ঘটনা নিয়েই গান বাঁধেন শিল্পী। এর পর ১৯৭২ সালে আকাশবাণীতে গানটি রেকর্ড করেছিলেন তিনি। পরে ১৯৭৬ সালে সেই গান রেকর্ড করে বিপুল জনপ্রিয়তা পান স্বপ্না চক্রবর্তী। বাদশাহ জানিয়েছেন, শুধু অর্থ সাহায্যই নয়, রতন কাহারকে প্রাপ্য সম্মানও দেওয়া হবে। মিউজিক ভিডিওটি রিলিজ হয়ে গেলেও সেটিকে রিএডিট করে সহ-গীতিকার হিসেবে রতনের নাম অ্যালবামে দেওয়া হবে। রতন কাহারের অন্য গান নিয়েও কাজ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন বাদশাহ।