আব্দুল্লাহ মামুন: [২] পিপিই বর্তমানে আলোচিত একটি শব্দ। নিন্মে পিপিই সম্পর্কেই কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো।
পিপিই-এর পূর্ণ রূপ হলো ‘পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট’। ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম। যদি কোনো ব্যক্তি এমন কোনো জায়গায় কাজ করেন; যেখানে তার সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তার জন্য পিপিই আবশ্যক।
[৩] পিপিই-তে পাঁচটি উপকরণ থাকা উচিত। এগুলো হলো-১. জুতার কভারসহ গাউন। ২. গ্লাভস। ৩. মুখের আবরণ (ফেস শিল্ড)। ৪. চোখ ঢাকার জন্য মুখের সাথে লেগে থাকে এমন চশমা বা গগলস। ৫. মাস্ক।
[৪] ১৭ শতকে ইউরোপে প্লেগ (মহামারী) দেখা দেয়। তখন ডাক্তাররা পিপিই হিসেবে অদ্ভুত রকমের একটি পোশাক পরতেন। ধারণা করা হয়, পোশাকটি ফরাসি চিকিৎসক চার্লস ডি’লরমি আবিষ্কার করেছিলেন।১৭ শতকে পিপিই আবিষ্কার হলেও বর্তমান যুগে এসেও তার অবদান রেখে চলেছে।
[৫] পিপিই বানানোর উপকরণ:
পিপিই ঠিক কোন কাপড়ের তৈরি হতে হবে, এমন কোনো সুনির্দিষ্ট ধারণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও এনএইচএস-এর পক্ষ থেকে দেয়া হয়নি। কিন্তু এনএইচএস বলছে, পিপিই তৈরিতে এমন কাপড় ব্যবহার করতে হবে, যা কোনভাবেই তরল শুষে নেবে না।
[৬] এটা এমন পদার্থে তৈরি হওয়া উচিৎ, যাতে তা কোনো ধরণের তরলকে ধারণ না করে এবং সেটা গড়িয়ে পড়ে যায়। অর্থাৎ পিপিই-কে সম্পূর্ণ শুষ্ক রাখবে, এমন পদার্থ ব্যবহার করাটাই এখানে গুরুত্বপূর্ণ।
[৭] এখানে আরও যে বিষয়টির দিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, একজন রোগীর একটি নির্দিষ্ট কাজের পরই পিপিই পরিবর্তন করার উপদেশ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এটি যাতে অতি অবশ্যই একবার ব্যবহার করে ফেলে দেয়া হয়।সম্পাদনা: তিমির চক্রবর্ত্তী