মাজহারুল ইসলাম : [২] তবে কিছু কিছু দেশ থেকে অনলাইনে রেমিট্যান্স পাঠানোর সুযোগ থাকলেও, দক্ষতার অভাবে তা কাজে লাগাতে পারছের না তারা। এতে গত ১০/১৫ দিনে ধরে রেমিট্যান্স পাঠানো প্রায় বন্ধ রয়েছে। সমকাল, জাগোনিউজ, নয়াদিগন্ত
[৩] দেশের রেমিট্যান্স আহরণের সবচেয়ে বড় উৎস মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব। করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৫ মার্চ থেকে দেশটিতে লকডাউন চলছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য সেখানে দোকানপাট অফিস-আদালত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। সবাই গৃহবন্দি থাকায় রেমিট্যান্স পাঠাতে পারছে না প্রবাসীরা। একই অবস্থা অন্যান্য দেশে থাকা বাংরাদেশি প্রবাসীদের ক্ষেত্রেও।
[৪] সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকদের মতে, রেমিট্যান্স কমে গেলে অর্থনীতিতে আরও চাপ তৈরি হবে। কারণ গত কয়েক মাসে রপ্তানি কমে গেছে। আমদানির পরিমাণও কমছে। এ পরিস্থিতি ভরসা ছিলো প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণার পর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি ছিলো ২০ শতাংশের বেশি। তবে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় সে সূচকেও পতন শুরু হয়েছে।
[৫] বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের পুরো মার্চজুড়ে ১৪৫ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠান প্রবাসীরা। এবার ১২ মার্চ পর্যন্ত প্রথম ২ সপ্তাহে প্রবাসীরা পাঠান ৮০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। তবে ২৪ মার্চ পর্যন্ত পরবর্তী ২ সপ্তাহে এসেছে মাত্র ৩৭ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। শেষের ৭ দিনে অধিকাংশ দেশ থেকে রেমিট্যান্স পাঠানো প্রায় একরকম বন্ধ রয়েছে। ফলে মার্চের বাকি কয়েকদিনে রেমিট্যান্স আরও কিছুটা যোগ হলেও তা আগের বছরের মার্চের ধারেকাছেও যাবে না। যদিও গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ মাসে প্রবাসীরা ১ হাজার ২৪৯ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠান। আগের অর্থবছরের ই সময়ে এসেছিলো ১ হাজার ৪১ কোটি ডলার।
[৬] ব্যাংকাররা জানান, রপ্তানি আয় দীর্ঘ দিন ধরে খারাপ অবস্থানে রয়েছে। এখন রপ্তানি আয় কমতে কমতে গত জানুয়ারি মাসে প্রায় ২ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এসবরের মধ্যে রেমিট্যান্সই ছিলো একমাত্র ভরসা। এ অবস্থার উন্নতি না হলে রেমিট্যান্সও ভয়াবহভাবে কমে যাবে। এর সরাসরি প্রভাবে চলতি হিসাবের ভারসাম্যসহ সামগ্রিক লেনদেনের ভারসাম্য ঋণাত্মক হয়ে পড়বে। এ অবস্থায় বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের বিষয়ে সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপ থাকতে হবে, যাতে সহায়সম্বল হারিয়ে প্রবাসীদের দেশে ফিরে আেেত না হয়।