শিরোনাম
◈ জুলাই অভ্যুত্থানের সেই ঐক্য কোথায়? ◈ ব্রিটিশদের ‘নাকানিচুবানি’ দিতে ইরানের এক দশকের ‘ছায়া যুদ্ধ’: যেভাবে চলছে যুক্তরাজ্যের ভেতরে গোপন তৎপরতা ◈ চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত, আরও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ◈ এবার অঝোরে কাঁদলেন মিসাইল ম্যান কিম জং উন (ভিডিও) ◈ জুলাই নিয়ে ‘আপত্তিকর’ ফেসবুক পোস্ট: পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রদের অবরোধ-বিক্ষোভ ◈ নতুন উচ্চতায় রেমিট্যান্স: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের সর্বোচ্চ প্রবাহ ◈ ডলারের দরপতনে রেকর্ড, ১৯৭৩ সালের পর সবচেয়ে বড় পতনে বিশ্ববাজারে আস্থার সংকট ◈ “৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের মতোই চব্বিশের যোদ্ধাদেরও জাতি ভুলবে না” — তারেক রহমান ◈ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান খালেদা জিয়ার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে বুধবার  সি‌রি‌জের প্রথম ওয়ানডে ম‌্যা‌চে  মু‌খোমু‌খি  বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ০২ এপ্রিল, ২০২০, ১০:৩৭ দুপুর
আপডেট : ০২ এপ্রিল, ২০২০, ১০:৩৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় টাকা পাঠাতে পারছেন না প্রবাসীরা, রেমিট্যান্সে ধস

মাজহারুল ইসলাম : [২] তবে কিছু কিছু দেশ থেকে অনলাইনে রেমিট্যান্স পাঠানোর সুযোগ থাকলেও, দক্ষতার অভাবে তা কাজে লাগাতে পারছের না তারা। এতে গত ১০/১৫ দিনে ধরে রেমিট্যান্স পাঠানো প্রায় বন্ধ রয়েছে। সমকাল, জাগোনিউজ, নয়াদিগন্ত

[৩] দেশের রেমিট্যান্স আহরণের সবচেয়ে বড় উৎস মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব। করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৫ মার্চ থেকে দেশটিতে লকডাউন চলছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য সেখানে দোকানপাট অফিস-আদালত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। সবাই গৃহবন্দি থাকায় রেমিট্যান্স পাঠাতে পারছে না প্রবাসীরা। একই অবস্থা অন্যান্য দেশে থাকা বাংরাদেশি প্রবাসীদের ক্ষেত্রেও।

[৪] সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকদের মতে, রেমিট্যান্স কমে গেলে অর্থনীতিতে আরও চাপ তৈরি হবে। কারণ গত কয়েক মাসে রপ্তানি কমে গেছে। আমদানির পরিমাণও কমছে। এ পরিস্থিতি ভরসা ছিলো প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণার পর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি ছিলো ২০ শতাংশের বেশি। তবে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় সে সূচকেও পতন শুরু হয়েছে।

[৫] বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের পুরো মার্চজুড়ে ১৪৫ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠান প্রবাসীরা। এবার ১২ মার্চ পর্যন্ত প্রথম ২ সপ্তাহে প্রবাসীরা পাঠান ৮০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। তবে ২৪ মার্চ পর্যন্ত পরবর্তী ২ সপ্তাহে এসেছে মাত্র ৩৭ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। শেষের ৭ দিনে অধিকাংশ দেশ থেকে রেমিট্যান্স পাঠানো প্রায় একরকম বন্ধ রয়েছে। ফলে মার্চের বাকি কয়েকদিনে রেমিট্যান্স আরও কিছুটা যোগ হলেও তা আগের বছরের মার্চের ধারেকাছেও যাবে না। যদিও গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ মাসে প্রবাসীরা ১ হাজার ২৪৯ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠান। আগের অর্থবছরের ই সময়ে এসেছিলো ১ হাজার ৪১ কোটি ডলার।

[৬] ব্যাংকাররা জানান, রপ্তানি আয় দীর্ঘ দিন ধরে খারাপ অবস্থানে রয়েছে। এখন রপ্তানি আয় কমতে কমতে গত জানুয়ারি মাসে প্রায় ২ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এসবরের মধ্যে রেমিট্যান্সই ছিলো একমাত্র ভরসা। এ অবস্থার উন্নতি না হলে রেমিট্যান্সও ভয়াবহভাবে কমে যাবে। এর সরাসরি প্রভাবে চলতি হিসাবের ভারসাম্যসহ সামগ্রিক লেনদেনের ভারসাম্য ঋণাত্মক হয়ে পড়বে। এ অবস্থায় বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের বিষয়ে সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপ থাকতে হবে, যাতে সহায়সম্বল হারিয়ে প্রবাসীদের দেশে ফিরে আেেত না হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়