ডেস্ক রিপোর্ট : [২] সৌদি আরবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১০ জন মারা গেছেন। দেশটিতে যে ১০ জন মারা গেছেন তার মধ্যে ৩ জন বাংলাদেশিও রয়েছেন বলে জানা গেছে।তাদের মধ্যে একজন চিকিৎসক রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেদ্দা। বাংলাদেশ প্রতিদিন, দেশের সংবাদ ডট কম
[৩] জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেটের আইন সহকারী মুমিনুল ইসলাম তিন প্রবাসীর মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত করে জানান, আমরা এখন পর্যন্ত ৩ বাংলাদেশির মারা যাওয়ার খবর নিশ্চিত হয়েছি। যে তিন জন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে একজন ডাক্তার ও অপর ২ জন একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন।
[৪] মৃত চিকিৎসক আফাক হোসেন (৫৮) মদিনায় একটি বেসরিকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়। আফাক হোসেন নড়াইল জেলার মোঃ আমজাদ হোসেনের ছেলে।
[৫] মোহাম্মদ হাসান (৩৮) চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চাকফিরানী দূর্লুবের পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি মদিনার আল তাইবা মার্কেটে কাজ করতেন। তার বাবার নাম লিয়াকত আলী।
[৬] মোহাম্মদ হাসানের ছোট ভাই মোহাম্মদ হেলাল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকায় বন্ধুসহ একটি খামারে বেড়াতে যান তার ভাই। সেখানে গিয়ে সর্দি-কাশি ও জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকা অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে তিনি মারা যান।
[৭] কনস্যুলেট থেকে পরিচয় নিশ্চিত করা অপর এক জন হলেন কোরবান আলী (৫৪)।তিনি মদিনার সোলায়মান ফাহাদ কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে গেলে তার শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। গত ২৪ মার্চ রাত ৮টার দিকে মদিনার আল জাহরা হাসপাতালে তিনি মারা যান। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেট তার মৃত্যুর খবর জানায়।তিনি ঢাকার সাভার উপজেলার সাদাপুর পূরান গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম রেজাউল করিম বলে জানা গেছে।
[৮] এদিকে কোরবান আলীর কোনো আত্মীয় বা পরিচিতজন এখন পর্যন্ত জেদ্দা কনস্যুলেটের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তাই বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে জেদ্দা কনস্যুলেট উইং একটি চিঠি পাঠিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাছে, বলেন কনস্যুলেটের আইন সহকারী মুমিনুল ইসলাম।
[৯] সৌদি আরবে বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৫৬৩ জন। মারা গেছেন ১০ জন, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১৫ জন।