আনিস তপন ও সুজন কৈরী : [৩] মঙ্গলবার কারা অধিদপ্তরের এআইজি (অ্যাডমিন) মঞ্জুর মোর্শেদ হোসেন বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন কারাগারে গত ৩০ মার্চ পর্যন্ত মোট ৪৬ বন্দিকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশের কারাগারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কোনো পজিটিভ কেস নেই।
[৪] তবে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের গৃহীত পদক্ষেপের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে ২৮ মার্চ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে থাকা বন্দির সংখ্যা ৪০।
[৫] সুরক্ষা সেবা বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অধিকতর সতর্কতার অংশ হিসেবে বন্দিদের কারো ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি লক্ষণ দেখা গেলে তাদের পৃথক কক্ষে রাখা হচ্ছে। কারাগারগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর নজরদারি ব্যবস্থা করা হয়েছে।
[৬] করোনা আক্রান্তদের কোনো পজিটিভ কেস পাওয়া গেলে সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় বন্দিদের জন্য বিভাগভিত্তিক কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, পিরোজপুর, সিলেট, ফেনী ও দিনাজপুর জেলা কারাগারে আইসোলেশন সেন্টার গঠন করা হয়েছে।
[৭] কারাগারে বন্দিদের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ সীমিত করা হয়েছে। বন্দিরা যেন আত্মীয়-পরিজন নিয়ে উদ্বিগ্ন না হন সেজন্য জরুরি টেলিফোনে কথা বলার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। বন্দি ও স্টাফদের বিদেশ ফেরত আত্মীয়-স্বজনকে কারা এলাকায় প্রবেশ থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
[৮] বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, কারা এলাকায় প্রবেশকারী সকলকে স্বাস্থ্যবিধি ও পরিচ্ছন্নতার নিয়ম কানুন মেনে চলতে বাধ্য করা হয়েছে। হ্যান্ডওয়াশ ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডিউটিতে প্রবেশের আগে কর্মরত সকলের হাত ও বুটজুতা জীবাণুমুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :