ইসমাঈল আযহার: [২] পবিত্র কোরআনে আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন- ‘মানুষের কৃতকর্মের কারণে স্থলে ও জলে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। তিনি (আল্লাহ তায়ালা) শাস্তি দেন, যাতে তারা আল্লাহর দিকে ফিরে আসে’ (সূরা আর রুম : ৪১)
[৩] আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘তোমরা এমন ফিতনাকে ভয় করো, যা বিশেষ করে তোমাদের মধ্যে যারা জালিম (অত্যাচারী-অপরাধী) কেবল তাদিগকেই ক্লিষ্ট করবে না এবং জেনে রাখো নিশ্চয়ই আল্লাহ শাস্তি প্রদানে কঠোর।’ (সুরা-৮ আনফাল, আয়াত: ২৫)
[৪] যেহেতু আমাদের পাপ সর্বত্র ছেয়ে গেছে, তাই বিভিন্ন প্রাকৃতিক আজাব আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে সতর্ক সংকেত। আল্লাহ আমাদের সতর্ক করছেন, তোমরা সহজ-সরল পথ ধর। তুমি ব্যক্তি জীবনে যে কাজই কর না কেন, তা যেন হয় সৎ।
[৫] পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর তোমাদের কৃতকর্মের কারণই তোমাদের ওপর বিপদ নেমে আসে। অথচ তিনি অনেক কিছুই উপেক্ষা করে থাকেন’ (সূরা আশ শুরা : ৩০)
[৬] আবার আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেছেন- ‘এমন কোনো জনপদ নেই যা আমি কেয়ামতের আগে ধ্বংস না করব, অথবা অতি কঠোর আজাব দেব’ (সূরা বনি ইসরাইল : ৫৮)
[৭] আল্লাহতায়ালা ‘নূহের পর আমি কত প্রজন্মকেই ধ্বংস করেছি। আর তোমার প্রভু প্রতিপালক তার বান্দাদের পাপের খবরাখবর রাখার ক্ষেত্রে এবং পর্যবেক্ষণের ব্যাপারে যথেষ্ট’ (সূরা বনি ইসরাইল : ১৭)
[৮] আজাবের এমন একটি দিক নেই, যেদিক দিয়ে আজ পৃথিবী আক্রান্ত হয়নি। পৃথিবীর এমন কোনো দেশ বা এমন কোনো জাতি নেই যার ওপর আজাব না এসেছে, সে যত বড় শক্তিধর রাষ্ট্রই হোক না কেন। খোদার পক্ষ থেকে শাস্তিস্বরূপ যখন কোনো আজাব আসে তখন তা থেকে রক্ষা পাওয়ার কোনো রাস্তা থাকে না।
[৯] এবিষয়ে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তুমি বল, আল্লাহর হাত থেকে কে তোমাদের রক্ষা করতে পারে যদি তিনি তোমাদের কোনো শাস্তি দিতে চান? অথবা তিনি যদি তোমাদের প্রতি কৃপা করতে চান তবে কে এ থেকে তোমাদের বঞ্চিত করতে পারে? আর তারা নিজেদের জন্য আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো অভিভাবক বা কোনো সাহায্যকারীও খুঁজে পাবে না’ (সূরা আহজাব : ১৭)
[১০] জাতি তার নির্দেশাবলি অমান্য করতে করতে সীমা ছাড়িয়ে যায় তখনই তার পক্ষ থেকে কোনো না কোনো শাস্তি নেমে আসে। আজ আমরা স্রষ্টাকে ভুলে বসেছে। আজ পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নেই যারা বলতে পারবে, আমরা এসব প্রাকৃতিক আজাব থেকে নিরাপদ। অতএব আমাদের আল্লাহর দিকে ফিরে যাওয়া উচিৎ। একনিষ্ঠভাবে ইবাদাত করা উচিৎ। আল্লাহ আমাদের সবাইকে বোঝার তাওফিক দান করুন।