ডেস্ক রিপোর্ট : [২] করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত ছুটিতে ঢাকা ছেড়ে অসংখ্য মানুষ গ্রামের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। আর যারা ঢাকায় আছেন, তারাও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। প্রিয়ডটকম, আমাদেরসময়
[৩] রাজধানীর এখন সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, বিপণিবিতান, হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধ। যানশূন্য সড়ক, জনশূন্য মাঠ-ঘাট। সবাই নিরাপদ স্থানে ঠাঁই নিয়েছেন। আর তাই প্রাণিকুল ভুগছে তীব্র খাদ্য সংকটে। ইট-কাঠ-পাথরের এ শহরে খাদ্য ছাড়া বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে তাদের জন্য।
[৪] রাজধানীর কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশে জীর্ণশীর্ণ হয়ে পড়ে আছে কুকুর-বিড়াল। শহর ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় তারা খাবার পাচ্ছে না কোথাও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাতেই কয়েকশ কুকুর বিড়ালের বিচরণ। বিভিন্ন হলের উচ্ছিষ্ট খেয়ে চলে তাদের জীবন। কিন্তু হলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ এলাকার কুকুর-বিড়ালের বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই নয়, এ চিত্র এখন ঢাকার সর্বত্র। কারণ এ শহরের অধিকাংশ এলাকাতেই কুকুর-বিড়াল বেঁচে থাকত হোটেল রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন খাবারের দোকানের উচ্ছিষ্ট খেয়ে। অনেকে ব্যক্তিগতভাবেও বিস্কুট, পাউরুটি, পরোটাসহ নানা ধরনের খাবার দিতেন। কিন্তু এখন জনশূন্য ঢাকার রাস্তা, হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধ। ফলে কুকুর-বিড়ালগুলো কোনো খাবার পাচ্ছে না।
[৫] গত শুক্রবার রাতে এ প্রতিবেদক রিকশায় যাচ্ছিলেন বিডিআর এক নম্বর গেটে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের মোড়ে পৌঁছতেই ৩টি কুকুর রিকশা ঘিরে ধরে। রিকশা থামাতেই কুকুরগুলো খাবারের জন্য অপলকে তাকিয়ে থাকে এ প্রতিবেদকের দিকে। দেখেই বোঝা যাচ্ছিল কুকুরই অভুক্ত। স্পষ্ট হয়ে গেছে বুকের হাড়গুলো।
[৬] পরিবেশ নিয়ে কাজ করা ক্লিন বাংলাদেশের কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, প্রাণিকুল আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। তারা আমাদের সমাজেরই অংশ। কিন্তু তাদের জীবন বাঁচানোই এখন দায় হয়ে গেছে। কুকুর, বিড়ালসহ ঢাকা শহরের অন্যান্য প্রাণিকুল তীব্র খাদ্য সংকটে পড়েছে। তাদের জীবন বাঁচাতে সরকারের উদ্যোগ নেয়া উচিত। সম্পাদনা : মাজহারুল ইসলাম