আব্দুল্লাহ মামুন : [২] প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারি সব মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও খাবার দোকান খোলা রাখতে দিচ্ছে না পুলিশ। বিভিন্ন অজুহাত ও গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে রেস্টুরেন্ট, ফাস্টফুড, কনফেকশনারিসহ সব ধরনের খাবার হোটেল। জাগো নিউজ
[৩] পুলিশের ভাষ্য, জনসমাগমের আশংকায় অপ্রয়োজনীয় দোকান বন্ধ করা হচ্ছে।
[৪] বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন স্থানে চলে পুলিশের এই তৎপরতা। সকাল সকাল রাজধানীর মহাখালী, ফার্মগেট, নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকার খাবারের দোকানগুলো বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এসব এলাকায় জনসাধারণ বেশি থাকে বিধায় খাবারের দোকানে ভিড় হবে তাই এগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়।
[৫] ধানমন্ডির ঝিগাতলায় একটি চেইন বেকারি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের শোরুমে গিয়ে ম্যানেজারকে এটি বন্ধের নির্দেশ দেন কয়েকজ পুলিশ সদস্যা।ম্যানেজার তাদের সরকারি নির্দেশনার বিষয়ে জানালে পুলিশ সদস্যরা ‘দোকান বন্ধ না করলে গ্রেপ্তার’ করার হুমকি দেন। প্রিয় ডট কম
[৬] বেকারির ম্যানেজার বলেন, আমাদের দোকানে কেক, টোস্ট বিস্কুটসহ নানা শুকনা খাবার বিক্রি হয়। এছাড়া জনস্বার্থে আমরা কোম্পানি থেকে চাল-ডাল ইত্যাদি এনেও বিক্রি করছি। দোকানের বাইরে আমাদের একজন স্টাফ সার্বক্ষণিক দাঁড়িয়ে ছিল। সে একজন বের হয়ে যাওয়ার পর আরেকজনকে প্রবেশ করাচ্ছিল। দোকানে কোনো জনসমাগমের সুযোগ ছিল না। এরপরও দোকান বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।
[৭] নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সমমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘জনসমাগম হয় এমন দোকানপাট (খাবারের দোকানসহ) বন্ধে আমাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমরা নির্দেশনা মেনেই কাজ করছি।’
[৮] সম্প্রতি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবাহী যানবাহন ও বিক্রয় প্রতিনিধিকে অবাধে চলতে দেয়ার নির্দেশনা দিয়ে পুলিশের আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবকে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
[৯] ডিএমপি রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, করোনা প্রতিরোধে খাবার হোটেল খোলা রাখলেও ভেতরে বসিয়ে খাবার পরিবেশনের সুযোগ নেই। ক্রেতারা শুধু পার্সেল নিয়ে যেতে পারবে। আমরা এটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।