সিরাজুল ইসলাম, কামাল হোসেন: [২] চারদিন ধরে গ্রামে ছুটছে মানুষ। মানিগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট ছেড়ে আসা ফেরিগুলোতে বিপুল মানুষ বৃহস্পতিবার দৌলতদিয়া ঘাটে এসেছে।
[৩] করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার টানা ১০ দিনের ছুটি শুরু হয়েছে। মানুষকে ঘরে থাকতে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে গাদগাদি করে বাড়ি ফিরছে মানুষ। এতে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি অনেক গুণ বেড়েছে।
[৪] রাজধানীর মিরপুর থেকে আসা মাগুরার রফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রাম তার কাছে তুলনামূলক নিরাপদ মনে হয়। বাস না থাকায় ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে ব্যাটারিত চালিত অটোরিকশায় চেপে বসেন তিনি। এ গাড়ির চালক ফজলু বলেন, বাসায় বসে থাকলে পেট চলবে না। তাই গাড়ি নিয়ে বের হয়েছেন।
[৫] মোটর সাইকেলে চড়ে কুষ্টিয়া যাচ্ছিলেন আশুলিয়া থেকে আসা শিমুল। তিনি বলেন, সাধারণত এত লম্বা ছুটি পাওয়া যায় না। তাই বাড়ি যাচ্ছেন। করোনাভাইরাসের ঝুঁকির প্রসঙ্গে কোনও কথা বলেননি এই যুবক।
[৬] ট্রাক চালক হাসেম মিয়া বলেন, ট্রাক চলাচল নিষিদ্ধ না। খালি গাড়ি নিয়ে যশোর যাচ্ছি। তাই কয়েকজন যাত্রী নিলাম। করোনাভাইরাস প্রসঙ্গ তুলতেই মুচকি হেসে গাড়ি চালাতে শুরু করেন তিনি।
[৭] বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার কর্মকর্তারা জানান, কয়েক দিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার সামান্য মানুষ ফেরি পার হয়েছে। মানুষের ভিড়ে সোম, মঙ্গল ও বুধবার ফেরিতে পা ফেলার জায়গা ছিলো না।