শরীফ শাওন : [২] কর্মব্যস্ত শহর যেন ঘুমিয়ে পড়েছে। কোথাও নেই জনসমাগম ও কোলাহল। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় পথচারী শূন্য হয়ে পড়েছে রাস্তাঘাটসহ অলিগলি। ধানমন্ডির লেক, রবিন্দ্র সরোবর, হাতিরঝিল এলাকাগুলোতে অবসর, বিনোদন ও হাটতে আসা জনসাধারণের দেখা মেলেনি। ধানমন্ডি ১৫ তে বিশ্ববিদ্যালয় পাড়াগুলোতে নেই শিক্ষার্থীদের আড্ডা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ পথ বন্ধ। পল্টন ও মতিঝিলের অফিসপাড়ায় নেই কর্মজীবিদের আনাগোনা।
[৩] তবে জনমানব শূন্যপ্রায় রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা ও গুলশান ডিসি মার্কেটে দলবেঁধে ঘুরতে দেখা যায় পথশিশুদের। তবে করোনা আতঙ্কে তারাও মাস্কের ব্যবহার করছে। এসময় পথশিশু রকিব ও বশির জানায়, টেলিভিশন, পত্রিকা, রেডিও এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনির মাইকিং থেকে করোনা এবং করনীয় সচেতনতা সম্পর্কে তারা অবগত।
[৪] ঢাকার ব্যস্ততম রাস্তাগুলোতে নেই গাড়ির হর্ণ, কালো ধোঁয়া ও চিরচেনা যানযট। অনেক স্থানে নেই ট্রাফিক পুলিশ। রাস্তায় খুব সীমিত আকারে চলছে রিক্সা, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মাইক্রোবাস। শহরের প্রধান সড়কগুলো ও আবাসিক এলাকাগুলো পরিদর্শন ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন আর্মি, পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা। এময় করোনায় করণীয় নিয়ে মাইকে প্রচারনা করছেন।
[৫] বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকা, হাতিরঝিল, গুলশান, বনানী, ফার্মগেট, কাওরানবাজার, পল্টন, গুলিস্থান, ধানমন্ডী, কলাবাগানসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। এর আগে ১৭ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। বিশাল এই ছুটি পেয়ে অনেকই সপরিবারে গ্রামের বাড়ি চলে যান। সেসময় থেকেই রাজধানীতে কমতে থাকে জনমানব ও গণপরিবহনের সংখ্যা। ২৬ মার্চ থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত সরকার সাধারণ ছুটির ঘোষণা দেয়। গণপরিবহণেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। বিশাল এই ছুটির সময় কাটাতে অনেকেই রাজধানী ছেড়ে যান।