সুজন কৈরী : [২] করোনাভাইরাস আতঙ্কে ব্যাপকভাবে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির জন্য গত বুধবার দেশের ১৫টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ৬৪ জেলার প্রশাসককে ২০ লাখ ৫৫ হাজার ২০০ লিটার রেক্টিফায়েড স্পিরিট (আরএস) বরাদ্দ দিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। এগুলো দিয়ে প্রায় ৪০ লাখ লিটার হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করা যাবে।
[৩] সবচেয়ে বেশি ২০ লাখ লিটার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ‘যমুনা ডিস্টিলারি লিমিটেড’ নামক কোম্পানিকে।
[৪] ডিএনসির দেয়া অনুমোদনপত্রে বলা হয়েছে, উপাদানগুলো আগামী তিন মাসের মধ্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরিতে ব্যবহার করতে হবে।
[৫] ডিএনসির মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দিন বলেন, জরুরী প্রয়োজনে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে রেক্টিফায়েড স্পিরিট (আরএস) বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আবেদন করলে বেশি সময় নেয়া হচ্ছে না। খুব বেশি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছেনা। প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব ও দক্ষ জনবল থাকা সাপেক্ষে রেজিস্ট্রেশন থাকলেই ওয়ান টাইম পারমিট দেয়া হচ্ছে। নতুন করে কেউ আবেদন করলে সেটিও বিবেচনা করা হবে।
[৬] ডিএনসির ঢাকা মেট্রো উপ-অঞ্চলের দক্ষিণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মাঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, অধিদপ্তরের মহপরিচালক বিশেষ বিবেচনায় রেক্টিফায়েড স্পিরিট বরাদ্দ দিয়েছেন দ্রুত হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি ও বাজারে সহজলভ্য করতে। আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ অনুমোদন দেন তিনি। তিনি বলেন, বিদেশ থেকে আইসো প্রোপাইল অ্যালকোহল আমদানি প্রায় বন্ধ। আর ইথানল ও আরএস তৈরি এবং ব্যবহারে ডিএনসির অনুমোদন লাগে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার এই দুই উপাদান দিয়েও তৈরি হয়। তাই সংকট মোকাবেলায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর ফলে বাজারে সহজেই কম দামে হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাওয়া যাবে। সম্পাদনা : রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :