শরীফ শাওন : [২] সহযোগিতা দিতে সংগঠনের কার্যালয় খোলা রাখতে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে বিজিএমইএ । বিজিএমইএ সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত ৯৩৬টি কারখানা থেকে রপ্তানি পোশাকের কার্যাদেশ বাতিলের সংবাদ পাওয়া যায়। বুধবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পোশাক খাতে এ পর্যন্ত ৮০ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার সংখ্যক মালের চাহিদা বাতিল হয়েছে। যার বাজার মূল্য দাড়ায় ২৫৮ কোটি ডলার।
[৩] সংগঠনটি থেকে জানানো হয়, এসময় বায়ারদের অনেকেই স্থায়ীভাবে কাজের আদেশ বাতিল করেন। তবে কিছু সংখ্যক বায়ার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসা পর্যন্ত স্থগিত করার আদেশ দেন।
[৪] গার্মেন্টস মালিকদের এই সংগঠনের সভাপতি রুবানা হক বলেন, অস্থায়ীভাবে বাতিল করা হলেও তা আমাদের জন্য কার্যাদেশ বাতিলের মতই ক্ষতিকর। এতে ক্ষতির মুখে পড়ছে পোশাক শিল্প, মালিক ও সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা।
[৫] বৈশ্বিক করোনা প্রভাবের কারণে কাজ না থাকায় কিছুসংখ্যক কারখানা মালিক নিজ নিজ সিদ্ধান্তে কর্মীদের ছুটি দিয়ে কার্যক্রম বন্ধ করছেন। এ বিষয়ে সংগঠন থেকে জানানো হয়, মালিকরা নিজ ইচ্ছায় কারখানা বন্ধ করতে পারেন। অথবা সরকারের নির্দেশে তা বন্ধ হতে পারে। এ বিষয়ে বিজিএমইএ কোন সিদ্ধান্ত দেয়ার অধিকার রাখে না।
[৬] সংগঠনটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ ইব্রাহিম জানান, কারখানা মালিকরা নিজ ইচ্ছায় কারখানা বন্ধ করতে পারেন। তবে শ্রম আইনের প্রতিটি বিষয় পরিপালন করে কারখানা বন্ধ করতে হবে।
[৭] পোশাক খাত সরকারি ছুটির আওতায় না আসায় শ্রমিকরা উৎপাদন অব্যাহত রাখতে কাজ করছেন করছেন। তাদের সার্বিক সহযোগিতার লক্ষে, কার্যালয় খোলা রাখতে বুধবার (২৫ মার্চ) বানিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন করে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।