খালিদ আহমেদ : [২] রোমার দাবি, তিনি আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার সঙ্গে যোগাযোগ করেও বুধবার দুপুর পর্যন্ত টেস্ট করাতে পারেননি। তার চিকিৎসার ব্যবস্থাও হয়নি ।
[৩] বুধবার বেলা সোয়া একটার দিকে ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা শেষ করা এই নারী। পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন তিনি।
[৪] নেবুলাইজারের মাউথপিস (মাস্ক) পরা অবস্থায় ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্টটি ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। আতিকা রোমা বলেন, ১২ দিন ধরে জ্বর। সঙ্গে প্রচণ্ড গলাব্যথা, শুকনা কাশি, কফ, তীব্র শ্বাসকষ্ট এবং পেটব্যথায় ভুগছি।
[৫] রোমা লিখেছেন, বন্ধু রানু আমার অবস্থা দেখে রেগেটেগে IEDCR এর হেল্পলাইনে যোগাযোগ করে পুরো ইতিহাস বলল। IEDCR কুর্মিটোলা হাসপাতালের এক প্রতিনিধি নাম ফারহা চৈতি উদ্বিগ্ন হয়ে ফোন করলেন। সব শুনে জানালেন ঐদিন রাতেই তারা আমাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাবেন। কারণ আমি করোনা ভাইরাস সাসপেক্টটেড। রাতটুকু সময় নিলাম সব কিছু গোছানোর জন্য। ঠিক হল সকাল ৮ টায় ওনাদের অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাবে। সারারাত ঘুমাতে পারলাম না নানান চিন্তায়। সকাল ৮ টার আগে নিজেকে পুরোপুরি প্রস্তুত করলাম। নাহ তাদের কোন খবর নেই। নিজেই সকাল ৯ টার দিকে চলে গেলাম কুর্মিটোলা হাসপাতালে। গিয়ে ডাক্তার ফারহা চৈতিকে ফোনের পর ফোন করলাম। উনি ধরলেন না। এখান থেকে সেখান ছুটে বেড়ালাম সেই অসুস্থ শরীরে। ডাক্তার চৈতি ফোন করলেন বেলা ১১:৩০ এ। উনি যে আনতে যাননি বা যাবার কথা ছিল, তার ধারপাশ দিয়েও গেলেন না। সম্পাদনা: হাসান হাফিজ