আনিস তপন : [১] ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকবে। পাঁচ দিনের সরকারি সাধারণ ছুটির ফলে মোট ছুটি হবে ১০ দিন। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের ছুটি। ২৭, ২৮ মার্চ ও ৩, ৪ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটি।
[২] সোমবার থেকে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে সামাজিক দূরত্ব ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুবিধার্থে সেনাবাহিনী প্রশাসনকে সহায়তা করবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে সেনাবাহিনী রোগীদের চিকিৎসা, সন্দেহজনক ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইন, বিদেশফেরত কেউ কোয়ারেন্টাইন পালনে ত্রুটি/অবহেলা করছেন কিনা, তা পর্যালোচনা করবে।
[৩] কাঁচাবাজার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও হাসপাতাল এবং সংবাদ মাধ্যমসহ জরুরি সেবা বিভাগগুলো এই ঘোষণার বহির্ভূত। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (খাদ্যদ্রব্য, ঔষধ ক্রয়, চিকিৎসা, মৃতদেহের সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই কেউ যেন বাইরে না যান। অফিস-আদালতের প্রয়োজনীয় কার্যাবলী অন-লাইনে সম্পাদন করতে হবে।
[৪] গণপরিবহন সীমিত থাকবে। গণপরিবহণ ব্যবহারে করোনাভাইরাস সংক্রমণমুক্ত থাকার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
[৫] বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার নির্দেশনা দেবে।
[৬] নিম্ন আয়ের কেউ শহরে জীবন-যাপনে অক্ষম হলে সরকার তাকে ‘ঘরে ফেরা কর্মসূচি’তে নিজ গ্রাম/ঘরে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।
[৭] সরকার ভাসানচরে পর্যাপ্ত আবাসন ও জীবিকার ব্যবস্থা করেছে। কমপক্ষে ১ লাখ ব্যক্তিকে সেখানে পাঠাতে পারবেন জেলা প্রশাসকরা।
[৮] করোনাভাইরাসজনিত কারণে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে জেলা প্রশাসকরা খাদ্য ও আর্থিক সাহায্য দেবেন।
[৯] করোনাভাইরাস মোকাবেলায় প্রয়োজনে ভূমিকা রাখতে প্রধানমন্ত্রী ৫০০ ডাক্তারের তালিকা করতে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনকে (বিএমএ) নির্দেশ দিয়েছেন।
[১০] সবরকম সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয় জনসমাগম নিষেধ। অসুস্থ/ জ্বর/ সর্দি- কাশিতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা মসজিদে যাবেন না।
গতকাল সচিবালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। সম্পাদনা: হাসান হাফিজ, ইকবাল খান
[১] করোনা সামলাতে সরকারের ১০ জরুরি ব্যবস্থা
আনিস তপন : [১] ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকবে। পাঁচ দিনের সরকারি সাধারণ ছুটির ফলে মোট ছুটি হবে ১০ দিন। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের ছুটি। ২৭, ২৮ মার্চ ও ৩, ৪ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটি।
[২] সোমবার থেকে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে সামাজিক দূরত্ব ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুবিধার্থে সেনাবাহিনী প্রশাসনকে সহায়তা করবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে সেনাবাহিনী রোগীদের চিকিৎসা, সন্দেহজনক ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইন, বিদেশফেরত কেউ কোয়ারেন্টাইন পালনে ত্রুটি/অবহেলা করছেন কিনা, তা পর্যালোচনা করবে।
[৩] কাঁচাবাজার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও হাসপাতাল এবং সংবাদ মাধ্যমসহ জরুরি সেবা বিভাগগুলো এই ঘোষণার বহির্ভূত। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (খাদ্যদ্রব্য, ঔষধ ক্রয়, চিকিৎসা, মৃতদেহের সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই কেউ যেন বাইরে না যান। অফিস-আদালতের প্রয়োজনীয় কার্যাবলী অন-লাইনে সম্পাদন করতে হবে।
[৪] গণপরিবহন সীমিত থাকবে। গণপরিবহণ ব্যবহারে করোনাভাইরাস সংক্রমণমুক্ত থাকার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
[৫] বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার নির্দেশনা দেবে।
[৬] নিম্ন আয়ের কেউ শহরে জীবন-যাপনে অক্ষম হলে সরকার তাকে ‘ঘরে ফেরা কর্মসূচি’তে নিজ গ্রাম/ঘরে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।
[৭] সরকার ভাসানচরে পর্যাপ্ত আবাসন ও জীবিকার ব্যবস্থা করেছে। কমপক্ষে ১ লাখ ব্যক্তিকে সেখানে পাঠাতে পারবেন জেলা প্রশাসকরা।
[৮] করোনাভাইরাসজনিত কারণে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে জেলা প্রশাসকরা খাদ্য ও আর্থিক সাহায্য দেবেন।
[৯] করোনাভাইরাস মোকাবেলায় প্রয়োজনে ভূমিকা রাখতে প্রধানমন্ত্রী ৫০০ ডাক্তারের তালিকা করতে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনকে (বিএমএ) নির্দেশ দিয়েছেন।
[১০] সবরকম সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয় জনসমাগম নিষেধ। অসুস্থ/ জ্বর/ সর্দি- কাশিতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা মসজিদে যাবেন না।
গতকাল সচিবালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। সম্পাদনা: হাসান হাফিজ, ইকবাল খান