রাশিদ রিয়াজ : [২] গত ১৮ বছরের মধ্যে বা ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারির পর এটাই সর্বনিম্ন দর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের প্রথম শাসনামলে তেলের দরে ফিরে গেছে বিশ্ব। আরটি
[২] বুধবার সকালে ৯ শতাংশ হ্রাস দিয়ে মার্কিন বাজারে তেল বিক্রি শুরু হলেও বিকেলে এ ধস দ্বিগুণ হয়ে যায়। করোনাভাইরাস বিশ্ব অর্থনীতিকে আরো কতটা ধাক্কা দিতে পারে যেন তার শক্ত এক নজির এটি। সিএনএন
[৩] এধরনের দর হ্রাস তেল শিল্পের উৎপাদন ও বিক্রিকে কমাগত নিরুৎসাহীত করছে। করোনাভাইরাসের কারণে পর্যটন শিল্প ধস নামায় তেলের চাহিদা বিপুলভাবে কমতে থাকে। অর্থনীতির চালিক শক্তি হিসেবে পরিচিত তেল খাত এখন অবসন্ন। হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল, ক্রুজ শিল্প স্থির এবং কলকারখানাগুলো অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। আরব বিজনেস
[৪] একই সঙ্গে সৌদি আরব ও রাশিয়া তেলের মূল্য ও উৎপাদন নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। রাশিয়া তেলের উৎপাদন হ্রাসে রাজি নয়, সৌদি আরব দাম না কমিয়ে বরং তেল উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে। যা তেলের আন্তর্জাতিক বাজারকে আরো ভারসাম্যহীন করে তুলেছে। অয়েল প্রাইস
[৫] তেল বাজার বিশ্লেষক লুইজি ডিকসন মন্তব্য করেছেন মনে হচ্ছে তেলের বাজারে প্রতিদিনের লেনেদেনে একটি ফাঁদ পাতা রয়েছে। এ পরিস্থিতি বাজারের জন্যে পারমানবিক বোমার মত। রিস্টাড এনার্জি
[৬] এ বছর শেষ পর্যন্ত তেলের চাহিদা দিনে ১১ লাখ ব্যারেল হ্রাস পেতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকস। রিস্টাড এনসার্জি বলছে এ চাহিদা নামবে ২৮ লাখ ব্যারেলে। এজন্যেই তেল উৎপাদক দেশগুলো ৬ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন হ্রাসের পরামর্শ দিয়েছিল।
[৭] এবছর তেলের দর হ্রাসের পাশাপাশি বিশ্বে বিমান যাতায়াত ২০ শতাংশ হ্রাস পাবে। ধারণা করা হয়েছিল তেলের দর ব্যারেল প্রতি ২৯ ডলারের নিচে নামবে না। ওয়ালস্ট্রিট ব্যাংক