শোয়েব সর্বনাম: এই জনঘনত্বের দেশে কোয়ারেন্টাইন ব্যাপারটা অসম্ভব। লোকেরা সুযোগ পেলেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে চা খায়। লিফটের জন্য লাইনে দাঁড়ালেও পেছন থেকে ঠেলে, ছ্যাপ দিয়ে টাকা গোনে। রাতারাতি সবাই অভ্যাস পরিবর্তন হয়ে যাবে এমন ভাবনা ভাবার কোনো কারণ নেই। হরতাল, আগুন, পেট্রোল বোমা মেরে লোকেদের যাতায়াত বন্ধ করা যায় না, বাসে আগুন লাগলে স্বাভাবিক ভঙ্গিমায় সেই বাস থেকে নেমে পরের বাসে উঠে চলে যায়। তারা করবে হোম কোয়ারেন্টাইন? করোনা ব্যাপকভাবেই ছড়াবে। কিন্তু এই রোগের কোনো ওষুধ নেই। ফলে অযথা ডাক্তারদের গালাগালি করা যাবে না এবার, তারা কী করবে? হাসপাতালে দৌড়িয়ে গিয়েও লাভ নেই। প্রচ- জ্বর আর শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকা লোকেদের বড়জোর ইনটেনসিভ কেয়ারে রাখা যেতে পারে কষ্ট কমানোর জন্য, জীবন বাঁচবে না।
কিছুদিন আগে নিউজ হয়েছে, দেশের বেশিরভাগ আইসিইউ নিউমোনিয়ার জীবাণুর সঙ্গমস্থল। এগুলো সাধারণ জীবাণু নয়, হাসপাতাল থেকে প্রচুর এন্টিবায়োটিক খেয়ে খেয়ে রেজিস্টেন্স অর্জন করছে এমন সব জীবাণু। তার মানে আইসিইউতে ঢুকে পড়লে করোনায় না মরলেও নিউমোনিয়ায় মরবেন। চিকিৎসা নিতে বিদেশ যাবেন? সেই রাস্তাও বন্ধ। ফলে করোনা ভোগাবে। আমাদের একটু বেশিই ভোগাবে। ঈদের আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসলে এই ভাইরাস সারাদেশে ছড়িয়ে যাবে। ঢাকার লোকেরা চীন কিংবা ইতালির লোকেদের চেয়ে কম স্বাস্থ্যবান, মাত্রাতিরিক্ত বায়ু দূষনের ভেতরে জীবনযাপনের কারণে সবারই ফুসফুস দুর্বল। ফলে এ দেশে শুধু বৃদ্ধ নয়, যুবকদের একটা বড় অংশও মৃত্যুঝুঁকিতে আছে। করোনাঘটিত দুর্যোগ শেষে ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে কমপক্ষে ৫ শতাংশ লোক রিমেম্বারিং দেখাবে, হতে পারে আমিও সেই দলে আছি। এমন পরিস্থিতিতেও আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকতে হবে, এই পরামর্শ মেনে চলার চেষ্টা করছি। ফেসবুক থেকে