শাহীন খন্দকার: [২] মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ কথা জানান।
[৩] সব ধরনের পারিবারিক, সামাজিক ও গণ-জমায়েত থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়ে আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, ইতোমধ্যে করোনা সতর্কতায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।তবে এখনো চালু রয়েছে দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি গ্রার্মেন্ট সেক্টর। গার্মেন্ট কর্মীদের জ্বর, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট থাকলে তাদেরকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে হবে।যতদিন তারা সুস্থ না হবেন ততদিন তাদেরকে বেতনসহ ছুটি দেয়ার জন্য গার্মেন্ট মালিকদের পরামর্শ দেন তিনি। এসময় তিনি আরও বলেন, বেতনে ছুটির ব্যবস্থা না করলে গার্মেন্ট শ্রমিকরা লক্ষণগুলো গোপন করবে। এতে অন্য শ্রমিকের ক্ষতি হবে।
[৫] আইইডিসিআর পরিচালক আরও বলেন, কোনো কারণে গার্মেন্ট কর্মীদের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হলে তা ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়বে। তাই এ পরামর্শ শুধু গ্রার্মেন্ট সেক্টরের জন্যই নয়, অন্যান্য যে সকল প্রতিষ্ঠানে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করেন, তাদেরকেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে বলে জানান তিনি।
[৬] তিনি বলেন, যেসব জায়গায় করোনার সংক্রমণ আছে সেখানে ভ্রমণ করবেন না। খেয়াল রাখবেন অফিস ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে যাতে হাঁচি কাশির সংক্রামণ না হয়। সকল ধরনের পারিবারিক ও সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজন থেকে বিরত থাকুন। এসব জায়গায় যাওয়া থেকেও বিরত থাকুন। কারণ সেখানে এমন কেউ আসতে পারে যার মধ্যে করোনার সংক্রমণ রয়েছে।
[৭] গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৪৬৪টি করোনা সংক্রান্ত কল এসেছে। ৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছি। ১৬ জন আইসোলেশনে আছেন। প্রাতিষ্ঠানিক সঙ্গরোধে (কোয়ারেন্টাইন) ৪৩ জন আছেন। নতুন করে দুইজনের শরীরে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে দেশে ১০ জনের মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
[৮] সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, নতুন আক্রান্ত দুইজনই পুরুষ। একজন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর সংস্পর্শে আক্রান্ত। অন্যজন ইতালি ফেরত। আমরা বলছি, পারিবারিকভাবে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। কারণ আমরা দেখছি পরিবারের সদস্যরা আক্রান্ত হচ্ছেন। আপনাদের সহযোগিতা না হলে কোভিড-১৯ ভাইরাস মোকাবিলা কঠিন হয়ে পড়বে।