বিপ্লব বিশ্বাস : [২] পিরোজপুর স্বরূপকাঠীতে মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটিতে ছাত্রলীগ যুবলীগকে বঞ্চিত করে শিবির যুবদলের লোজনকে স্থাণ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। স্বরূপকাঠী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার আব্দুল্লা বাবু মামুনের স্বাক্ষরিত মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটির কোন উপকমিটিতে ঠাঁই হয়নি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনকের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের স্বরূপকাঠী উপজেলা বা পৌর শাখার এবং যুবলীগের কোন নেতা কর্মীর। বিপরীতে এসব উপকমিটিতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নেতৃত্বের পাশাপাশি শিবির সমর্থক, যুবদল নেতা, এমনকি বিএনপির ক্ষমতায় চাকরি নেয়া কতিপয় পেশাধারী লোকজন স্থাণ পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা।
[৩] উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান রনি দত্ত জয় অভিযোগ করেন, ইউএনও সরকার আব্দুল্লাহ বাবু মামুন জামায়াতের সমর্থক, তিনি জামায়েত বিএনপির লোকজন নিয়ে তার ইচ্ছামত জাতীর জনকের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন কমিটি ও নানান উপ কমিটি করেছেন। যেখানে উপজেলা পরিষদ সম্পূর্ণ উপেক্ষিত ছিল। তিনি তার স্বাক্ষরিত এসব কমিটিতে ছাত্রলীগ যুবলীগের কোন নেতাকর্মীকে না রাখলেও ইনকিলাব প্রতিনিধি (শিবির সমর্থক), নয়াদিগন্ত প্রতিনিধি উপজেলা (যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক), ইত্তেফাক প্রতিনিধি (বিএনপির ক্ষমতায় চাকুরি প্রাপ্ত ও সাবেক যুবদল নেতা) সহ আমপার্টি, জাতীয় পার্টির লোকজনকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রেখেছেন। উপজেলার যুবদলের আরেক যুগ্ন আহবায়ক গোলাম মোস্তফা এদের রাজনৈতীক পরিচয় নিশ্চৎ করেছেন।
[৪] এবিষয়ে স্বরূপকাঠী পৌর শাখা যুবলীগের সভাপতি শিশির কর্মকার বলেন, ইউএনও কর্তৃক শতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির বিভিন্ন উপ কমিটিতে ছাত্রলীগ যুবলীগ স্থান না পেলেও আমার ওয়ার্ডের শিবিরকর্মী এবং জাতীয় সংগিত ব্যাঙ্গ করে থানায় আটক হওয়া ইনকিলাব প্রতিনিধি, উপজেলা যুবদল নেতা, বিএনপি নেতাদের স্থাণ দেয়ায় আমি ইউএনও সরকার আব্দুল্লাহ বাবু মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি মিস হাইডেড হয়ে একাজ করেছেন দাবি করেন। আমি এধরনের কর্মকার্ডে বিস্মিত, তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি যারা ইউএনওকে দিয়ে এধরনের নষ্ট রাজনীতি করছেন। এসব অভিযোগের বিষয়ে ইউএনও'র সরকারি নম্বর ০১৭১৯৭৫৩৬৩৮ এ ফোন করা হলে তিনি রিসাভ করেননি।