আসিফুজ্জামান পৃথিল : [২] বিজ্ঞানীদের ধারণা, চীনের উহান শহরের সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকেই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হয়েছিলো । বন্য প্রাণীর অবৈধ কেনাবেচার জন্যও ওই বাজারের পরিচিতি রয়েছে, যেখানে সাপ, র্যাকুনস, সজারুর মতো প্রাণী খাঁচায় রেখে খাবার অথবা ঔষধ হিসাবে বিক্রি করা হতো। তবে পুরো প্রদেশটি কোয়ারেন্টাইন করে ফেলার পর সেই বাজার বন্ধ হয়ে যায়। বিবিসি. গ্লোবাল টাইমস
[৩] বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, করোনাভাইরাসের প্রাথমিক উৎস বাদুর বলে তারা ধারণা করছেন। তাদের ধারণা, ভাইরাসটি অন্য আরেকটি প্রাণীর শরীরে প্রথমে স্থানান্তরিত হয়েছে, যদিও সেই প্রাণীটি এখনো শনাক্ত করা যায়নি। তারপরে সেটি মানুষের শরীরে এসেছে।
[৪] ঐতিহ্যগতভাবে বন্য পণ্যের বিশাল চাহিদা রয়েছে চীনের অনেক প্রদেশের রেস্তোরাঁয় বাদুরের স্যুপ, বাঘের অণ্ডকোষ দিয়ে অথবা গন্ধগোকুলের শরীরের অংশ দিয়ে তৈরি করা স্যুপ বিক্রি করা হয়।
[৫] বেশ কয়েকটি পাখির প্রজাতি বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দেয়ার জন্য চীনের বন্যপ্রাণীর ব্যবসাকে দায়ী করা হয়। অনেক এলাকার বাজারে ইঁদুর, বিড়াল, সাপ এবং পাখির অনেক প্রজাতি বিক্রি হয়, যার মধ্যে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা অনেক প্রাণীও রয়েছে।
[৬] প্যানগোলিনের অসম্ভব চাহিদার কারণে এর মধ্যেই এই প্রাণীটি চীন থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বিশ্বের অন্যান্য অংশেও এই প্রাণীটি এখন সবচেয়ে বেশি পাচার হওয়া বুনো প্রাণী। বাংলাদেশ ও ভারতে এই প্রানীটি প্রচুর পরিমাণে থাকায় এই দেশগুলো থেকেও চীনে পাচার করা হয় এই প্রাণীটি।
[৭] ধারণা করা হচ্ছে যে, মানব শরীরে বিভিন্ন রোগ সংক্রমণের ৭০ শতাংশই আসছে প্রাণী থেকে, বিশেষ করে বন্যপ্রাণী থেকে।
[৮] সর্বশেষ প্রাদুর্ভাবের ফলে চীন বন্যপ্রাণী বাণিজ্যের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তবে সংরক্ষণবাদীরা এই সুযোগ ব্যবহার করে স্থায়ী একটি নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়েছেন।