মাজহারুল ইসলাম : [২] বজবজের কাছে ফ্লাই অ্যাশ বোঝাই ‘এমভি মমতাময়ী মা’ নামের ওই জাহাজটি গতকাল সকালে ডুবে যায়। আনন্দবাজার
[৩] ডুবে যাওয়া জাহাজের ক্যাপ্টেন নজরুল ইসলাম জানান, সামনেই ছিলো বাংলাদেশি জাহাজ এম ভি সানি। মাঝখানে ছিলো এম ভি মমতাময়ী মা। আর পেছনে ছিলো কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের একটি জাহাজ। এম ভি সানি ও এম ভি মমতাময়ী মা-তে পণ্য থাকায় গতি ছিলো কম। অন্যদিকে পিছনে থাকা কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের জাহাজটি ছিলো ফাঁকা, ফলে এর গতি ছিলো বেশি। বজবজের কাছে পিছনের জাহাজটি আমাকে ওভারটেক করে।
[৪] ক্যাপ্টেন নজরুলের অভিযোগ, পাশ কাটিয়ে যেতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমার জাহাজের পেটে ধাক্কা মারে পেছনের জাহাজ। ধাক্কায় জাহাজটি এক দিকে হেলে যায়। ওইসময় এম ভি মমতাময়ী মা-তে ১৩ জন নাবিক ছিলেন এবং ডেকে থাকা রাকিব হোসেন নামে এক নাবিক মাথায় আঘাত পান। পরে কলকাতা পুলিশের রিভার ট্রাফিকের স্পিডবোট নাবিকদের উদ্ধার করে।
[৫] ঘটনার সময় তীরে থাকা লোকজন ও মাঝিরা জাহাজটিকে ডুবে যাওয়ার হাত থেকে আটকাতে পাড়ের গাছে দড়ি বাঁধেন। কিন্তু ওইসময় জোয়ার আসায় তীব্র স্রোতে সেই গাছটি উপড়ে গেলে জাহাজটি ডুবে যায়। গতকাল বিকেলে বন্দর ও কলকাতা পুলিশের ডুবুরিরা কোন জায়গায় জাহাজটি ডুবেছে তা চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছেন।
[৬] কলকাতা বন্দরের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, দেখছি ঠিক কী কারণে দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।