শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ০৯ মার্চ, ২০২০, ০৮:০১ সকাল
আপডেট : ০৯ মার্চ, ২০২০, ০৮:০১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বছরে বন্দরের লোকসান ৮০ কোটি টাকা

নিউজ ডেস্ক : [২] দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম বন্দর কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থিত। এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সম্পাদন হয় ৯২ শতাংশেরও বেশি। তাই কর্ণফুলী নদীতে নৌ-বাণিজ্য কার্যক্রম বজায় রাখতে নিয়মিত ড্রেজিং বা খনন করা প্রয়োজন। কিন্তু নানা জটিলতায় ব্যাহত হচ্ছে ড্রেজিংয়ের কাজ। এতে সংকুচিত হচ্ছে কর্ণফুলী, ভোগান্তিতে পড়ছে নগরবাসী। ফলে বন্দর ব্যবসায়ীরা গুনছেন আর্থিক লোকসান। বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করে শেয়ার বিজ। এ নিয়ে তিন পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ থাকছে শেষ পর্ব। শেয়ার বিজ

[৩] সাইফুল আলম, চট্টগ্রাম: কর্ণফুলীর সদরঘাটে ২০১৩ সালে তৈরি করা হয় চারটি লাইটারেজ জেটি। এসব জেটির অবকাঠামোগত সুবিধা থাকলেও শুধু জেটির সামনে ড্রেজিং না হওয়ায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে। এরমধ্যে এসব লাইটারেজ জেটি দেশের বৃহৎ চারটি শিল্পগ্রুপকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু বরাদ্দের এক বছরেও তারা তা ব্যবহার করতে পারেনি। এতে জেটি থেকে বছরে ৮০ কোটি টাকা আয় বঞ্চিত হচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোও নিজস্ব জেটিতে পণ্য খালাসের সুবিধা না পেয়ে অতিরিক্ত ব্যয় গুনছে।

[৪] চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু নির্মাণের প্রাক্কালে নদীতে পলি জমার হার বৃদ্ধি পেলে বন্দর চ্যানেলের নাব্য উল্লেখযোগ্য মাত্রায় হ্রাস পায়। এ অবস্থায় ২০১২ সালের মে মাসে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়। এ প্রকল্পের আওতায় সরদঘাটে লাইটারেজ জাহাজের জন্য ৪০০ মিটার দীর্ঘ ও ১৫ মিটার প্রশস্ত একটি জেটি নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হয়। পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আইনি জটিলতার কারণে দীর্ঘ পাঁচ বছর বন্ধ থাকে ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্পের কার্যক্রম। এ সময়ে পলি জমে কর্ণফুলী নদী ধীরে ধীরে তার স্বাভাবিক নাব্য হারিয়ে ফেলে, ভাটার সময় দেখা যায় তার রুগ্ণ দশা।

[৫] এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য আবারও ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ‘সদরঘাট টু বাকলিয়ার চর ড্রেজিং’ প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পলিথিনের ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ করেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে প্রত্যাশিত মাত্রায় কাজ করতে পারছে না বাস্তবায়নকারী সংস্থা। এ প্রকল্পের কাজ প্রায় ১৪ মাস পার হলেও এখন পর্যন্ত অগ্রগতি মাত্র ১৮ শতাংশ। যদিও একই সময়ে ১ নম্বর জেটিটি খাদ্যশস্যের জন্য বিএসএম গ্রুপকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। আর ২, ৩ ও ৪ নম্বর জেটি লৌহ ও ইস্পাতশিল্পের জন্য বিএসআরএম, কেএসআরএম ও আবুল খায়ের স্টিলকে এবং ৫ নম্বর জেটি সিমেন্ট ও ক্লিংকার শিল্পের জন্য কনফিডেন্স সিমেন্টকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এসব জেটি থেকে বন্দরের বছরে আয় হবে ২৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে কনফিডেন্স সিমেন্ট জেটি ব্যবহার করলেও তেমন স্বস্তিতে নেই। অন্যদিকে বিএসআরএম, বিএসএম গ্রুপ, আবুল খায়ের গ্রুপ এবং কেএসআরএম এখনও জেটিগুলো ব্যবহার করতে পারছে না। আর এসব জেটিগুলো আগামী ১০ বছরের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়।

[৬] প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলেন, প্রকল্প শুরু থেকে নানা জটিলতায় সম্মুখীন ‘সদরঘাট টু বাকলিয়ার চর ড্রেজিং’ প্রকল্প। নদীর সাত মিটার গভীরে মিলছে পলিথিন। এখনও মাটির দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে বদলাতে হয়েছে একাধিক ড্রেজার। আর এ কারণে পদে পদে ব্যাহত হচ্ছে ২৫৮ কোটি টাকার প্রকল্প। ফলে নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে কবে চালু করা যাবে লাইটারেজ জেটিগুলো। এক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে জেটির মুখে ড্রেজিং শেষ করা।

[৭] নৌযান ও শিপিং এজেন্ট সংশ্লিষ্টরা জানান, কর্ণফুলী নদীর ড্রেজিং দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় অনেক স্থানে পলি জমেছে। ফলে বাকলিয়া অংশে বিশাল চর জেগে উঠেছে। পাশাপাশি নদীর গভীরতাও অনেক কমেছে। এছাড়া অনেক সময় নৌ-দুর্ঘটনায় ডুবে যাওয়া জাহাজগুলো তোলা হয়নি। এতে অনেক সময় নৌযান আটকে যাচ্ছে কিংবা জোয়ারের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে ঝুঁকিতে আছে নৌযান চলাচল প্রক্রিয়া। পাশাপাশি বাড়ছে পরিচালনা ব্যয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়