শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৭ মার্চ, ২০২০, ০৭:৪৭ সকাল
আপডেট : ০৭ মার্চ, ২০২০, ০৭:৪৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] দিল্লি দাঙ্গার নিহতদের পরিবারগুলো শোকে মুহ্যমান স্বজনের কান্নায় গুমোট হয়ে আছে উত্তর-পূর্ব দিল্লি

আসিফুজ্জামান পৃথিল : [২] মাত্র ২২ বছর বয়সী মোহাম্মদ আরশাদের দেহ যখন বাড়ির উঠানে আনা হয়, তা আচ্ছাদিত ছিলো সাদা কাফনে। আরশাদের আদরের ৬ বোন কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন। কারণ তারা জানেন, তাদের রঙমিস্ত্রি ভাই আর কখনোই বোনদের জন্য ফল নিয়ে আসবেন না। দ্য গার্ডিয়ান
[৩] আরশাদ একা নন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের জের ধরে সৃষ্ট দাঙ্গায় নিহতদের অনেকের আত্মীয়-স্বজন গুমরে কাঁদছেন দিনরাত। আরশাদের পরিবার ভাগ্যবান, তারা প্রিয়জনের লাশ পেয়েছেন, অনেকের সেই সৌভাগ্যও হয়নি।

[৫] হিন্দু-মুসলিম উভয়পক্ষেরই হতাহতের ঘটনা ঘটলেও, বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মুসলিমরাই। এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের লাশ মিলেছে, যাদের মধ্যে ৩৫ জনই মুসলিম।
[৬] দাঙ্গা চলার সময় দুই হিন্দু বন্ধুর সঙ্গে মটরসাইকলে করে যাচ্ছিলেন আরশাদ। এসময় ৩জন হিন্দুর একটি দল তাদের ঘিরে ফেলে পরিচয় জানতে চায়। আরশাদ চুপ ছিলেন। এসময় তারা আরশাদের পাজামা খুলে তার ধর্মীয় পরিচয় জানতে পারে। এরপর বন্ধুদের আটকে রেখে তাদের চোখের সামনেই আরশাদকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। পরে একটি নর্দমায় পওয়া যায় আরশাদের নগ্ন লাশ।

[৮] মুস্তাফাবাদের একটি শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া ৪৮ বছর বয়সী নূরজাহান শোনান তার গল্প। তিনি শিববিহার নামে একটি এলাকায় আটকা পড়েন। দাঙ্গাবাজদের কাছ থেকে বাঁচতে নূর একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। এসময় দাঙ্গাকারীরা বলতে থাকে, ‘বের হয়ে আসো। আমরা তোমার সঙ্গে সঙ্গম করবো। এরপর তুমি রাম ও হনুমানের জন্ম দেবে।’ এরপর থেকে নিজ এলাকায় ফিরতেও ভয় পাচ্ছেন নূরজাহান।
[১০] বেশ অনেকগুলি পরিবার এই দাঙ্গায় রাতারাতি নিঃস্ব হয়ে গেছে। অনেকেই বাড়িঘর হারিয়েছেন, কেউ দোকান কেউবা গাড়ি, যা ছিলো জীবিকার একমাত্র মাধ্যম। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়