আশরাফুল আলম খোকন: ‘১ মার্চ রাতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আমান উল্লাহ বাজারের একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন ছাত্রলীগের হাবিব, রনি, মনু, রায়হান ও রাকিব। এ সময় তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় শিবির কর্মীরা। এতে রাকিব ও রায়হান গুলিবিদ্ধ হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে (চিকিৎসাধীন অবস্থায়) ২ মার্চ দুপুরে রাকিবের মৃত্যু হয়’। আচ্ছা রাকিবদের রক্তও তো লাল। তাদেরও তো মা আছে, বাবা আছে, বোন আছে, ভাই আছে, নাকি নেই? তাদের বাবা-মা’র যন্ত্রণা-রক্তক্ষরণ কি আপনাদের ছোঁয় না? তাদের বোনদের ভাই হারানোর আর্তনাদ কি আপনাদের কানে পৌঁছায় না?
তারাও তো তাদের বাবা-মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলো। সমাজকে দিতে চেয়েছিলো, দেশকে দিতে চেয়েছিলো। রাকিবদের বাবা-মায়ের কান্নার কি কোনো মূল্য নেই? প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর বর্বর হুঙ্কার সত্ত্বেও কোথায় সেই আবরার-আন্দোলন? কোথায় সেই মানবিকতা? কোথায় সেই নীতি-নৈতিকতার ধ্বজাধারীরা? রাকিবের মায়ের নিদারুণ আর্তনাদে বোকাবাক্সে মধ্যরাতের প্রলাপ থেমে যায়... তবুও রাকিবরা অনুহ্য রয়ে যায়। রাকিবদের রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা, কেননা এই রক্ত কখনো দেশের সঙ্গে বেঈমানি করে না। ফেসবুক থেকে