এস এম নূর মোহাম্মদ : [২] ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনুকে হত্যার ঘটনায় জারি করা রুলের শুনানি শেষে রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ নির্দেশনা দেন।
[৩] এতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক এএসপি তার অধীনের প্রতিটি থানার ওসির সঙ্গে ৬ মাসে অন্তত ১ বার গণপিটুনি প্রবণতার বর্তমান অবস্থা নিয়ে বেঠক করবেন। এ বিষয়ে সচেনতা তৈরির লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের প্রচারণা অব্যাহত রাখবেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেকোন ধরনের অডিও, ভিডিও, খুদে বার্তা যা গুজব সৃষ্টি বা মানুষকে উত্তেজিত করতে পারে তা বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। গণপিটুনির ঘটনায় কোন রকম দেরি না করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এফআইআর নিতে বাধ্য থাকবে এবং তা সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারকে অবহিত করবেন।
[৪] এছাড়া গণপিটুনিতে রেনু হত্যার ঘটনায় ঢাকার জেলা শিক্ষা অফিসার উত্তর বাড্ডা প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অবহেলার ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। এর আগে গত বছরের ২৬ আগস্ট গণপিটুনিতে নিহতদের জীবন রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা নিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
[৫] গুজবকে কেন্দ্র করে গত বছরের ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডায় গণপিটুনিতে রেনুকে হত্যার ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান জনস্বার্থে রিট দায়ের করেছিলেন।