আবুল বাশার নূরু ও মহসীন কবির : [২] শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিমা কোম্পানিতে চাকরি করতেন। আমার জন্যও বিমা কোম্পানিতে যেন একটি চাকরি থাকে।
[৩] তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় জড়িয়ে কারাবন্দি করা হয়। জনগণের আন্দোলনের মুখে আইয়ুব খান সেই মামলা প্রত্যাহার করেন। বঙ্গবন্ধু মুক্তি পেলে একটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি থেকে তাকে চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি জীবন-জীবিকার জন্য ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে কাজ করেছেন। তাই তিনি বিমার গুরুত্ব জানতেন। এজন্য ৪৯টি বিমা কোম্পানিকে তিনি জাতীয়করণ করেন। পরে তিনি বিমা করপোরেশনের উন্নয়নে আইন প্রণয়ন করেন।
[৪] তিনি বলেন, একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলার দায়িত্ব নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। কোনও রিজার্ভ মানি ছিল না। যুদ্ধের বছর কোনও উৎপাদন হয়নি। ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে একটি রাষ্ট্র গঠন, কাঠামো প্রণয়ন ও সংবিধান দিয়ে গেছেন তিনি।
[৫] প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে বিমা নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা কম। মানুষের মধ্যে বিমার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। বিমার গুরুত্ব বোঝাতে হবে। স্বাধীনতার পর দেখেছি, পাটের গুদামে আগুন লাগতো, আর ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির টাকা হাতিয়ে নেওয়া হতো। গার্মেন্টসে আগুন লাগানো হতো ইন্স্যুরেন্সের টাকা খাওয়ার জন্য। পরে আমি গোয়েন্দা সদস্যদের লাগিয়ে দিয়ে দেখলাম, কিছু কিছু মানুষ ধরাও পড়লো। এজন্য বিমা কোম্পানিতে সৎ লোক নিয়োগ দিতে হবে। যেন বিমার টাকা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা পান।
[৬] তিনি বলেন, আমরা সরকার গঠনের পর বিমা এগিয়ে নিতে অনেক কিছু করেছি। বিমা আইন-২০১০ প্রণয়নসহ দুটি আইন করে দিয়েছি। জাতীয় বিমা নীতি-২০১৪ প্রণয়ন করেছি।
[৭] তিনি বলেন, বিমা করা থাকলে দুঃসময়ে মানুষ সাহায্য পায়। এক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতিটা কার্যকর করা দরকার। দেশের সব বিমা পদ্ধতিকে অটোমেশন পদ্ধতিতে নিয়ে এলে সবার জন্য ভালো হবে। গ্রাহকদের বিশ্বাস বাড়বে। বিমা করলে মানুষ যে সুবিধাগুলো পাবে, তা প্রচার করতে হবে। লেখাপড়া করা শিশুদের জন্য শিক্ষা বিমা করা যেতে পারে। বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বিমাকরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আমরা বিবেচনায় রেখেছি। রবিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিমা দিবস-২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।