শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৬:৩৬ সকাল
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৬:৩৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সংক্রান্ত সব কাজেই পারিশ্রমিক দেওয়ার বিপক্ষে আমি

আর রাজী : বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাসহ আর যতো রকমের পরীক্ষা আছে সব ক্ষেত্রে শিক্ষক-কর্মচারীদের যে পৃথক পারিশ্রমিক/সম্মানী দেওয়া হয় তা বন্ধ করে দেওয়া দরকার। এই একটি ব্যবস্থা নিলেই কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার বিরুদ্ধে তোলা বেশ কিছু যুক্তির অবসান দু-তিন বছরের মধ্যেই ঘটবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সংক্রান্ত সব কাজেই পারিশ্রমিক দেওয়ার বিপক্ষে আমি। শিক্ষকদের বেতন-ভাতা কেবল পাঠদানের জন্যই দেওয়া হয় এমন কথা কোথাও বলা হয়নি। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করাটা তাদের চাকরির অংশ।

এর জন্য কোনোভাবেই তারা অতিরিক্ত কোনো পারিশ্রমিক পেতে পারেন না। একইভাবে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানোটাও শিক্ষক-কর্মচারীদের কাজের অন্তর্গত। এ কাজের জন্যও তারা কোনো অতিরিক্ত অর্থ পেতে পারেন না। আমার অনুমান, সান্ধ্যকালীন কোর্সসহ অন্য আর যেসব ‘দেশসেবামূলক কাজ’ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা করেন সব কিছু বন্ধ হয়ে যাবে যদি সেসব ‘সেবাদানের’ জন্য তাদের ‘সম্মানী’ বন্ধ করে দেওয়া হয়। শিক্ষকদের বেতন-ভাতা আরও বাড়ালেও এসব ‘সেবাদানের’ মাধ্যমে উপার্জন বন্ধ হবে বলে আমি বিশ্বাস করি না। সরকারি লোকদের বেতন বৃদ্ধির পর যেমন ঘুষের দর বৃদ্ধি পেয়েছে, এ ক্ষেত্রেও তাই হবে। তারা এ সব ‘সেবাদানের’ সম্মানী আরও বাড়িয়ে নেবেন। সুতরাং তাদের এই ‘সেবাগুলো’ থেকে যদি জাতিকে রেহাই পেতে হয় তাহলে উপায় আছে একটাইÑ অতিরিক্ত কোনো কাজের জন্য অতিরিক্ত একটি টাকাও কেউ পাবে না। দেখবেন সব সমস্যা সরলভাবে মিটে যাবে। এমনকি অযোগ্যদের দলে ভিড়িয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের চলতি রাজনীতি পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যাবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়