মঞ্জুরে খোদা টরিক : জাপানিজদের ছুটিগুলো খুব অর্থপূর্ণ ও আগ্রহউদ্দীপক। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সূর্যোদয়ের দেশ জাপানের বাৎসরিক ছুটির ক্যালেন্ডার ও উপলক্ষ : ১ জানুয়ারি শুভ নববর্ষ দিবস। ১৪ জানুয়ারি প্রাপ্তবয়স্ক দিবস। ছেলেমেয়েদের ২০ বছর হওয়া উপলক্ষে তাদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার জন্য উৎসাহিত করার আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনন্দিত করা হয়। ১১ ফেব্রুয়ারি জাতি প্রতিষ্ঠা দিবস এবং দেশেকে ভালোবাসার দিন হিসেবে স্মরণ করা হয়। ২০ মার্চ পূর্বপুরুষদের সমাধিস্থলে গিয়ে শ্রদ্ধা জানানো এবং জীবন ও প্রকৃতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দিবস। ২৯ এপ্রিল শোওয়া দিবস।
সম্রাট হিরোহিতোর জন্মের পরের সময়কালকে শোওয়াকাল হিসেবে তারা স্মরণ করে। ৩ মে সংবিধান স্মরণীয় দিবস। ৪ মে প্রকৃতির প্রতি কৃতজ্ঞতা দিবস। ৫ মে শিশু দিবস, এই দিবসে শিশুদের স্বাস্থ্যকর সুন্দর ভবিষৎ কামনায় যে সব বাসায় শিশু আছে তারা তাদের ঐতিহ্য অনুযায়ী সাজায়। ১৫ জুলাই সাগর আশির্বাদ দিবস, যেহেতু জাপান সাগর দ্বারা পরিবেষ্টিত একটি দেশ, তাই খাদ্য ও নিরাপত্তার জন্য একে বিশেষভাবে স্মরণ করা হয়। ১১ আগস্ট পাহাড় দিবস, পাহাড় ভ্রমণ, অবকাশ, আশীর্বাদ দিবস। ১৬ সেপ্টেম্বর প্রবীণ নাগরিক সম্মান দিবস। এই দিন তাদের দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন প্রত্যাশা করা হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর শরৎকালের প্রারম্ভে পূর্বপুরুষদের সমাধিস্থল পরিদর্শন ও শ্রদ্ধা জানানো। ১৪ অক্টোবর স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া দিবস। ৩ নভেম্বর সাংস্কৃতিক দিবস। ২৩ নভেম্বর শ্রমিক ধন্যবাদ দিবস। ২৩ ডিসেম্বর স¤্রাটের জন্মদিন উদযাপন।
বাৎসরিক ছুটির এই তালিকা দেখে মনে করতে পারেন মাত্র এই কয়েকদিন তাদের ছুটি, তার মানে তারা কি শুধু কাজই করে? বিষয়টা এমন নয় এর বাইরেও বেশ কিছু অনানুষ্ঠানিক লম্বা ছুটির ব্যবস্থা আছে। যেমন নববর্ষকে ঘিরে, সোনালী সপ্তাহ এবং তাদের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব ওবোন নতুন বছর ইত্যাদি। যে ছুটিগুলো বেসরকারিভাবে নির্ধারিত হয়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানি তাদের মতো করে নির্ধারণ করে এবং বাৎসরিক ক্যালেন্ডার তৈরি করে। এর সঙ্গে ফুল দেখা (জাপানিজে বলে ‘হানামি’), আতোশবাজি/আলোর খেলা বা উৎসব (হানাবি), সাগরে যাওয়া (উমি দেখা), বাবা দিবস, মা দিবস এ সব হচ্ছে তাদের বাৎসরিক ও ধারাবাহিক আনন্দ, বিনোদন, স্মরণ ও উপভোগের অংশ। বইটি পাওয়া যাচ্ছে দ্যু প্রকাশন, স্টল নং ৭০৪, ছাড়কৃত ৩০০ টাকা। ফেসবুক থেকে