শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৯:৪৫ সকাল
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৯:৪৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শিশুকালেই বোঝা যায় ভবিষ্যৎ কী হতে পারে

তন্নীমা আক্তার : লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজের বিজ্ঞানীরা দাবী করেছেন শিশুকাল থেকেই বোঝায় যায় বড় হয়ে সে ভালো মানুষ হবে কি না অপরাধী হবে।  শৈশবে ব্রেন স্ক‌্যান ও মস্তিষ্কের গঠন এবং কিছু অংশের রঙের পার্থক‌্য দেখে বোঝা যায়। ৪৫ বছর বয়সি প্রায় সাত হাজার মানুষের ব্রেনের গঠন পরীক্ষা করে দেখে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন তারা। বাংলাদেশ প্রতিদিন

গবেষকদের মতে, ব্রেনের গঠন ছোট হলে সমাজবিরোধী আচরণ, খুন, চুরি, হিংসা, মারধরের মতো ঘটনায় যুক্ত হন অনেকে। এদের অনেকেরই শিক্ষক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভবিষ‌্যতে অপরাধী হয়ে ওঠা ব‌্যক্তিদের মধ্যে ছোট থেকেই হিংসামূলক আচরণ করার রেকর্ড ছিল। রেকর্ড ঘেঁটে এমনই কিছু অপরাধীর স্কুলশিক্ষকরা জানিয়েছেন, এরা নার্সারি ক্লাস থেকেই মারপিট, শারীরিক নিগ্রহের ঘটনায় জড়িত ছিল।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কৈশোরকালে যারা অবাধ‌্য বা বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠে তারা ভবিষ‌্যতে অপরাধী হওয়ার সম্ভবনা কম। গবেষকদের দাবি, ব্রেনের কর্টিজল সারফেস এরিয়া ও কর্টিজল কতটা চওড়া তা এমআরআই স্ক‌্যান দেখে বুঝতে পারা যায়। সমীক্ষা করা ব‌্যক্তিদের মধ্যে যাদের ব্রেনের কর্টিজল সারফেস এরিয়া ও কর্টিজল চওড়া কম তাদের অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। তাদের ব‌্যবহারও অন‌্যদের চেয়ে উগ্র। এদের মস্তিষ্কের কর্টেক্সও অনেক পাতলা হয়। যা মানুষের আবেগ, মোটিভিশনকে কন্ট্রোল করে। এক গঠনগত পরিবর্তন আচরণগত পরিবর্তনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। লন্ডনের এই গবেষকদের মতে, ছোটবেলা থেকেই এমআরআই স্ক‌্যান করে নিয়ে আগাম বোঝা যায় সেই শিশু ভবিষ‌্যতে কুখ‌্যাত গুণ্ডা বা দুষ্কৃতী হয়ে উঠতে পারে কি না। সেই অনুযায়ী ওই শিশুকে সঠিক শিক্ষা দিয়ে অপরাধপ্রবণতা কমাতে হবে। ব্রেনের আকার ছোট দেখে এভাবে আগাম সতর্ক হয়ে সমাজে অপরাধীর সংখ‌্যা কমানো সম্ভব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়