মো. আসাদুল্লাহ : ২ জেলার কিছু কিছু আমগাছে ২০-২৫ শতাংশ মুকুলিত হয়েছে। গবেষকরা এজন্য জলবায়ুর পরিবর্তনকে দায়ী করছেন । আর কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন- দেরিতে মুকুল আসলে আমও পাকবে দেরিতে। তাই চাষিরা পাবেন ভালো দাম।
কৃষিবিভাগের তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এক দশক আগেও চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাঘের শুরুতেই গাছে গাছে মুকুল দেখা দিতো। মধ্য মাঘেই মুকুলে মুকুলে ছেয়ে যেতো গাছ।
আমচাষি সাদরুল ইসলাম ও আমিরুল ইসলাম জানান, এখন আমরা পরিচর্যা করছি । মুকুল কেবল দেখা দিয়েছে। জেলার সব বাগানই প্রায় মুকুলহীন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত¡ গবেষণা কেন্দ্র (আম গবেষণা কেন্দ্র) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের যা পর্যবেক্ষণ তাতে দেখা যাচ্ছে, এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের মুকুল আসতে কিছুটা বিলম্বিত। আগে মধ্য জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি প্রথম দিকে মুকুল আসতো। কিন্তু এবার এক সপ্তাহ বা দুই সপ্তাহ পিছিয়ে গেছে। জলবায়ুর পরিবর্তনটাই প্রধান কারণ বলে আমরা মনে করছি। এই বছর বিলম্বিত হচ্ছে। মাঘের শেষদিন পর্যন্তও বেশ শীত অনুভূত হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। তাপমাত্রা কম থাকায় আমগাছ মুকুলিত হতে পারছে না।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মঞ্জুরুল হুদা জানান, এখনও গাছ মুকুলিত হওয়ার সময় আছে। কৃষিবিভাগ বলছে, জেলায় ৩১ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে আম বাগান আছে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান
আপনার মতামত লিখুন :