শিরোনাম
◈ আদানির বকেয়ার সব টাকা পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ◈ মাঠে ছড়িয়ে থাকা লেবু ও  ডিম দে‌খে ম্যাচ খেলতে আসা ‌ক্রিকেটাররা ভয়ে পালালেন ◈ ভারতীয় ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরে আপত্তি মোদি সরকারের! ◈ উনি ক্লাসে বাজে ঈঙ্গিতপূর্ণ কথা বলার পাশাপাশি বডি শেমিং করেন ◈ এবার নিউ ইয়র্ক মেয়রপ্রার্থী মামদানিকে গ্রেপ্তারের হুমকি ট্রাম্পের!, তীব্র প্রতিক্রিয়া ◈ বউ পেটানোয় শীর্ষে খুলনা ও বরিশালের মানুষ: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (ভিডিও) ◈ ক‌ষ্টের জ‌য়ে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনা‌লে রিয়াল মা‌দ্রিদ ◈ দুপু‌রে এ‌শিয়ান কাপ বাছাই‌য়ে স্বাগ‌তিক মিয়ানমা‌রের বিরু‌দ্ধে লড়‌বে বাংলাদেশ নারী দল ◈ প্রথম ওয়ান‌ডে ম‌্যা‌চে মুশফিক-রিয়াদের জায়গায় খেলবেন লিটন দাস ও মিরাজ ◈ জুলাই অভ্যুত্থানের সেই ঐক্য কোথায়?

প্রকাশিত : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০১:৩৯ রাত
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০১:৩৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৭০ বছরের বৃদ্ধার ঘাড়ে ছেলে ও নাতি-নাতনির ভার

নিউজ ডেস্ক : বাড়ি তো নয় পাখির বাসা-ভেন্না পাতার ছানি,
একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি।
একটুখানি হাওয়া দিলে ঘর নড়বড় করে,
তারি তলে আসমানিরা থাকে বছর ভরে।
পেটটি ভরে পায় না খেতে, বুকের ক’খান হাড়,
সাক্ষী দেছে অনাহারে কদিন গেছে তার।

পল্লীকবি জসিম উদ্দিনের কবিতার সেই আসমানিই যেন কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজলার পশ্চিম পোমকাড়া গ্রামে বিশম্ভর মজুমদারের স্ত্রী গীতা মজুমদার।ডেইলি বাংলাদেশ

স্বামীর মৃত্যুর পর নিজেই টেনে চলেছেন সংসারের ঘানি। ৭০ বছর বয়সেও বয়ে চলেছেন প্রতিবন্ধী ছেলে ও দুই নাতি-নাতনির বোঝা। তাদের নিয়েই ভাঙা টিন আর পলিথিনে ছাওয়া ঘরে বসবাস গীতা মজুমদারের। মানুষের কাছে হাত পেতে যা পান, তা দিয়েই চলে সবার ভরণ-পোষণ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পলিথিনের ছোট্ট ঘরে মাটিতে বসিয়ে দুই নাতিকে খেতে দিয়েছেন গীতা মজুমদার। খাবার বলতে দু’মুঠো ভাত আর কিছু কুড়িয়ে আনা পাতা। এসব খেতে চায় না নাতিরা।

রাগে-দুঃখে গীতা মজুমদার বলেন, বুড়া বয়সে আমার অইছে যত জ্বালা। পোলা পাগল মানু। কোন ফাইলে গেছে ঠিক নাই। ছোডু পোলাপাইনডি হালাইয়া তাগো মা চইলা গেছে। একটা ঘর নাই। খানা নাই। বুড়া বয়সে কোনহানে যামু। কোন ভাতা-টাতা পাই না। একখান ঘর পাই না। একজন ভাতা দিবো বইলা এক হাজার টেহা নিছে। আর খবর নাই।

গীতার প্রতিবেশী মোহাম্মদ শরীফ বলেন, আর কত খারাপ অবস্থায় পড়লে গীতা মজুমদার ভাতা পাবেন? তাদের একটি ঘরেরও খুব প্রয়োজন।

দেবিদ্বারের সুবিল ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবু তাহের বলেন, নতুন ভাতার কার্ড পেলে তাদের সহযোগিতা করা হবে।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আবু তাহের বলেন, আমাদের সঙ্গে যোগযোগ করলে তাদের ভাতার ব্যবস্থা করে দেবো।

উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা গোলাম মোহাম্মদ বলেন, হতদরিদ্রদের ঘর দেবিদ্বারে আসেনি। নতুন প্রকল্প এলে গীতা মজুমদারের জন্য বরাদ্দ দেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়