শিরোনাম
◈ পারস্পরিক শুল্ক সংকট: চূড়ান্ত দর-কষাকষিতে বাংলাদেশ ◈ আরব আমিরাতের আবুধাবিতে প্রবাসী বাংলাদেশির ভাগ্যবদল: লটারিতে জিতলেন ৮০ কোটি টাকা ◈ ২৪ ঘণ্টায় গাজায় নিহত ১১৮, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পর্যালোচনায় হামাস ◈ ‘মব এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলে কঠোর পদক্ষেপ নেবে সেনাবাহিনী’ ◈ হোটেলে নারীকে মারধর করা বহিষ্কৃত যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তারের চেষ্টায় পুলিশ ◈ বনানীর জাকারিয়া হোটেলে ঢুকে নারীদের ওপর যুবদল নেতার হামলা, ভিডিও ◈ দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ জামায়াতের নিবন্ধন পুনর্বহালের গেজেট প্রকাশ ◈ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ ◈ তিন দিনের ছুটিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, পাবেন না যারা ◈ উচ্চ ও নিম্ন আদালতকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করতে হবে: সালাহউদ্দিন

প্রকাশিত : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৬:২৩ সকাল
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৬:২৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সরকারি চাকরির আবেদন ফি যেন বেকারদের জন্য দাবানল

 

সাজ্জাদ হোসেন সবুজ : প্রথম তো আমিও একজন পরিপূর্ণ বেকার, ‘বর্তমান বাংলাদেশে একজন বেকারের জন্য একটি সরকারি চাকরি যেন একটি সোনার হরিণ থেকে হীরক হরিণ হয়েছে। একজন গ্রাজুয়েট যখন ‘দিন-রাত হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে চাকরির আশায় ওই বেকার শুধু একটি সরকারি চাকরির প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলেই চাকরিটি পেয়ে যাবে এমনটি নয়। একটি চাকরি পাওয়ার জন্য অসংখ্য প্রিলি, রিটেন ও ভাইভা দিতে হয়। এখন আসুন ক’টি উদাহরণ টেনে মূল কথা বলি-৯ম গ্রেডের আবেদন ফি : বিসিএস (৭০০) টাকা, বিএডিসি (৫০০) টাকা, বিআরএ (৫০০) টাকা, বাংলাদেশ বিমান (১১১১) টাকা, বিআরবিআর (৫০০-১০০০) টাকা, ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টর (৫০০-১৫০০) টাকা ব্লা ব্লা যা বেকারদের জন্য দাবানল স্বরূপ ও অপ্রত্যাশিত। এগুলোকে সোজা কথায়, বেকারদের কাছ থেকে তাদের ব্যবসায়ী ওয়েতে আর্নিং সোর্স। তা না হলে তারা কেনইবা এতো টাকা পরীক্ষার আবেদন ফি রাখবে? প্রত্যেকটি সার্কুলারে তাদের আবেদনকারী লক্ষাধিক। অর্থাৎ ১০-২০টি পোস্টের নবম গ্রেডের বিপরীতে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান কোটি কোটি টাকা বেকারদের হাতিয়ে নেয়। এর থেকে বড় বাণিজ্য বাংলাদেশ আর হতে পারে না। আবার দশম গ্রেডের চাকরি ফি (৩০০-৫০০ টাকা) সেটাও অগ্রহণযোগ্য। তৃতীয় গ্রেডের চাকরি ফি জন্য (১০০-১১০) টাকা এবং চতুর্থ শ্রেণির জন্য (৫০-৬০) টাকা গ্রহণযোগ্য হতে পারে।

আমার মত : তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির সরকারি চাকরি পরীক্ষা তিন ধাপে সম্পন্ন হয় প্রিলি, রিটেন ও ভাইভা। বরং এই দুই শ্রেণির প্রার্থী বা প্রতিযোগী সব থেকে বেশি। যা ৯ম ও ১০ম গ্রেডের চাকরি পরীক্ষায় এতো বেশি নয়। আমার কথা, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যদি ৫০-১০০ টাকা ফি নিয়ে তিন ধাপে পরীক্ষা নিতে পারে। তাহলে সেইম ফি নিয়ে কেনইবা ( ৯-১০) গ্রেডে নয়। যেমনটা এখন সরকারি ব্যাংকে সব গ্রেডে পরীক্ষার ফি ২০০ টাকা ধার্যকৃত। যা সবার জন্য গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার মতো। আবার পরীক্ষার ফি পক্ষে আমি। কেননা একজন পরীক্ষার্থী ফি দিয়ে আবেদন করলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত থাকে, কিন্তু ফিবিহীন পরীক্ষায় উপস্থিতি কম তাতে বরাদ্দকৃত পরীক্ষার হল বা কেন্দ্রের খরচের জন্য টেন্ডারধারীরা লোকসানে থাকতে পারো। অতএব, সব গ্রেডের পরীক্ষার ফি ২০০ টাকার মধ্যে নির্ধারিত করা হোক। এই আকুলতা সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রতি। আপনারা কেন ২০০ টাকা ফি রাখবেন তার বাস্তবতা বলি : একজন বেকার পাঁচ বছরে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করার পর অসহায় হয়ে পড়ে। দেশের (৭০-৮০) শতাংশ বেকার মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবারের। পরিবারের সদস্যরা আশায় থাকে বেকার সন্তানের একটি সরকারি চাকরির ছায়া দেখতে। কিন্তু বেকারদের সেই ছায়া যে বৃষ্টিতে পরিণত হয় এটা কেবল বেকারই জানে। কিছু কিছু বেকার যেখানে তিন বেলা তিন মুঠো খেতে পারে না। তাহলে তারা কতো কষ্ট করে একটি ৯ম গ্রেডের চাকরিতে আবেদন ফি (৫০০-১৫০০) টাকা ম্যানেজ করবে? দেশ উন্নতির দিকে যাচ্ছে সেই সঙ্গে বেকারদের এ দুর্দিনেরর কথা বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতি আকুল আবেদন যে, বাংলাদেশের সরকারি চাকরির সব গ্রেডের চাকরি ফি যেন (১০০-২০০) টাকার মধ্যে রাখেন।

বি:দ্র: ক’দিন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহবাগে সরকারি চাকরির আবেদন ফি কমানোর জন্য আন্দোলন চলছে। আসুন আমরা দেশের সব বেকার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মবোধ ঘোষণা করি ও জোড়ালো আন্দোলন গড়ে তুলি। লেখক : শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়