সমীরণ রায় : মাসব্যাপি অমর একুশে বইমেলার দশমদিন ছিলো সোমবার। দরজায় কড়া নাড়ছে মুজিববর্ষ। তাই তো বইমেলায়ও ছাপ পড়েছে মুজিববর্ষের। পুরো মেলায় বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করা হয়েছে কাজে-স্থাপনায়-ব্যানারে। বাংলা একাডেমি চত্বরে চলছে বঙ্গবন্ধুর আলোকচিত্র প্রদর্শন। নজরুল মঞ্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ঢাকসু) মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন সময়ের আলোকচিত্র প্রদর্শন করছে। বইমেলার উদ্বোধনী দিন থেকে শুরু করে এ প্রদর্শনী চলবে মেলার শেষ দিন পর্যন্ত।
এদিকে, বইমেলায় ভিড় নেই ঠিক। কিন্তু মেলা জমেনি তা বলা যাবে না। তবে বেলা গড়াতেই বিকালে বইমেলা যখন খোলে, তখন বইমেলায় ভিড় জমে ওঠে তরুণ-তরণীদের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। দেখা যায়, দল বেঁধে পুরো বইমেলা টইটই করে বেড়াচ্ছে। তাদের কথা, হাসির কলকাকলি মেলার স্তব্ধতা ভেঙে দেয়। সোমবার দেখা গেছে দল বেঁধে শিক্ষার্থীদের ভিড়। পুরো মেলা কয়েক চক্কর দিয়ে কিনেছেন নানা স্বাদের বই। এরা সবাই বই কিনেছেন সবার মিলিত টাকায়। সবাই সবার পছন্দের বই কিনেছেন। এরপর প্রত্যেকেই প্রত্যেকের পছন্দের বই পড়বেন।
বইমেলা বরাবরই দুই অংশে অনুষ্ঠিত হয়। দাপ্তরিক অংশ বাংলা একাডেমি চত্বর। বেসরকারি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। একাডেমি চত্বরের প্রবেশ পথের সামনেই নজরুল মঞ্চ অবস্থিত। এই নজরুল মঞ্চে এক সময় বইয়ের মোড়ক উন্মোচিত হতো। এখন মোড়ক উন্মোচনের জন্য উদ্যানে ব্যবস্থা রয়েছে। তাই নজরুল মঞ্চ ফাঁকাই পড়ে থাকে।
বইমেলায় ঘুরতে আসা রাবেয়া আক্তার বলেন, বইমেলার আয়োজন এবার অনেক ভালো লেগেছে। অনেক নতুন কিছু যুক্ত হয়েছে। সর্বোপরি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এমন প্রদর্শনী সত্যিই ভালো লাগার মতো। বাংলাদেশের স্থপতি এ মহান মানুষটি সম্পর্কে আমাদের সবার জানা উচিত।