মাসুদ আলম : শনিবার ও রোববার রাতে রাজধানীর রামপুরা থেকে আল মাহমুদকে র্যাব-৩, গাজীপুরের উত্তর খাইলপুকুর থেকে আবু বক্কর সিদ্দিককে র্যাব-১, খুলনা থেকে সাইমন ইসলাম ও শাকিল মাহমুদকে র্যাব- ৬ এবং হাজারীবাগ এলাকা থেকে মাসুম খালাসীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-২। গ্রেপ্তারকৃতরা এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস প্রতারণা ও গুজব সৃষ্টিকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য।
গ্রেপ্তাকৃতরা ফেসবুক মেসেঞ্জার, ভাইবার এবং ইমু গ্রুপে প্রশ্নফাঁসের কথা বলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। একেকজনের কাছ থেকে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
র্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, আবু বক্কর সিদ্দিক ইউনিভার্সিটি অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি এন্ড সাইন্স (ইউআইটিএস) এ বিএসসির ছাত্র এবং পাশাপাশি তিনি মমতাময়ী বিদ্যানিকেতন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ায়। প্রাইভেটের আড়ালে ২০১৯ সালে ফেসবুক আইডির মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু করে। সে ফেসবুকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মেসেজের মাধ্যমে প্রলোভন দেখিয়ে মেসেঞ্জার, ইমো ও হোয়াটস্অ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহ করে মোটা অংকের টাকা আয় করে।
র্যাব-২ জানান, মাসুম রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের বানিজ্যিক বিভাগে অধ্যায়নরত। তিনি হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকের মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁস করে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়।