লাইজুল ইসলাম: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ৩য় টার্মিনালের কাজ শুরু হয়েছে। যা নির্মাণে মোট ব্যয় হবে ২১ হাজার ৩ শত ৯৯ কোটি টাকা। এই টার্মিনালের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ৩ লাখ ৩০ হাজার বর্গ মিটারের আয়তন, ২০ টি বোর্ডিং ব্রিজ, ২১ টি কনভেয়র বেল্ট ও ১৭৭ টি চেক ইন কাউন্টার নিয়ে হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর বছরে মোট ২০ মিলিয়ন যাত্রীকে সেবা প্রদান করতে পারবে। ৩য় টার্মিনালের সকল সেবা হবে স্বয়ংক্রিয় ও আন্তর্জাতিক মানের। যাত্রীদের ভ্রমণকে সহজ ও স্বস্তির করে তোলার সকল আয়োজন থাকবে শাহজালালের ৩য় টার্মিনালে।
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়নে খরচ ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৬৮ কোটি টাকা। বিমান বন্দরের রানওয়ে শক্তিশালীকরণ ও এয়ার ফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম স্থাপনের কাজ পুরুদমে এগিয়ে চলছে।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ২ হাজার ৭ শত ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ ও রানওয়ে শক্তিশালীকরণ প্রকল্প চলমান রয়েছে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার লক্ষে কাজ চলছে। ৫ হাজার ১ শত ৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে এখানে নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ ও রানওয়ের দৈর্ঘ ৯০০০ ফুট থেকে বাড়িয়ে ১২০০০ ফুট করার প্রকল্প চলমান রয়েছে।সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক হাবে পরিণত করার লক্ষ্যে এর উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে।
এসব উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হলে বাংলাদেশ ভারত, নেপাল, ভূটান, মিয়ানমার, চীন ও পাকিস্তানের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হাবে পরিণত হবে বলে জানান বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। তিনি বলেন, কক্সবাজারের বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মানের হলে ভূটান, নেপাল, ভারত ও মায়ানমার থেকে আমরা প্রচুর পর্যটক পাবো এখানে। কম খরচে এখানে আসবেই তারা।
মাহবুব আলী বলেন, সৈয়দপুর বিমানবন্দর যদি আন্তর্জাতিক মানের হয়ে উঠে তবে এখানে ভারত, নেপাল ও ভূটানের আঞ্চলিক হাবে পরিণত হবে। এতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে। পর্যটনেরও বিকাশ হবে।