গিয়াস উদ্দিন, পটিয়া প্রতিনিধি : কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া ইউএনও অফিসের সামনে সড়কের ওপর সড়ক ও জনপদের (সওজ) ‘গুদাম’ থাকায় দূর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সড়কের বিশাল অংশজুড়ে গুদামটি থাকায় যানচলাচলে প্রতিবন্ধকতা ও সড়ক সংকুচিত হয়ে পড়ছে। এতে বাড়ছে যানজট। ঘটছে মহাসড়কটির সৌন্দর্যহানি। এব্যাপারে সওজ, হাইওয়ে পুলিশ ও সংশ্লিষ্টদের নজর নেই।
সরেজমিন ঘুরে দেখা দেখা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া থানা এলাকা দিয়ে প্রতিদিন শতশত দূরপাল্লার বাস,ট্রাক কক্সবাজারে চলাচল করে। এছাড়া দক্ষিণ চট্টগ্রামের চার উপজেলা এবং বান্দরবান জেলার গাড়ি চলাচল করে। সম্প্রতি পটিয়া পৌর সদরে জাইকার অর্থায়নে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উভয় পাশে একটি উন্নতমানের ড্রেন নির্মাণ করা হলে সড়কটির উভয় পাশ প্রায় ২০ ফুটেরও বেশি সম্প্রসারিত হয়।
এ সম্প্রসারণের কারণে পটিয়া উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অফিসের সামনে সওজের গুদামটি রাস্তার ওপর চলে আসে। বর্তমানে গুদামঘরটির উভয় পাশ দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। সড়কের ওপর অবস্থিত এ গুদামঘর অদৃশ্য কারণে ভাঙ্গা হচ্ছে না। তাই সংকুচিত হয়ে পড়া ওই এলাকায় লেগেই থাকে যানজট।
পটিয়া থেকে চট্টগ্রামগামী বাসের চালক আহমদ সাহেল বলেন, মহাসড়কের ওপর গুদাম কার স্বার্থে মাথায় আসছে না। ওই গুদামের কারণে যে কোন সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দূর্ঘটনা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সড়ক ও জনপদের কর্মকর্তাদের খেলিপনার কারণে যুগের পর যুগ ধরে পরিত্যক্ত গুদামঘরটি সড়কের ওপর অক্ষত অবস্থায় রেখে দেয়া হয়েছে। এতে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের ওই এলাকা সংকুচিত হয়ে পড়েছে। সেখানে আহরহ ঘটছে দূর্ঘটনা। তারপরও সওজের মাথা ব্যথা নেই।
সড়কের ওপর গুদামঘরটি থাকায় তার উভয় পাশে সিএনজি অটোরিকশা রিকশা ষ্ট্যান্ড ও নানা গাড়ির গ্যারেজে পরিণত হয়েছে। দিনদিন ওই এলাকা দখলদারের চোখ পড়ছে। আশে-পাশে দখল হচ্ছে।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সওজের পটিয়া নির্বাহী প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসাইেনর সাথে বার বার কথা বলতে চাইলে আমাদের নতুন সময় পত্রিকার নাম শুনে উনার ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে উনি কথা বলেননি, গুদামটিতে এক সময় সড়ক ও জনপদের বিভিন্ন জিনিসপত্র রাখা হতো। বর্তমানে সেটি পরিত্যক্ত। সম্পাদনা:জেরিন
আপনার মতামত লিখুন :