শিরোনাম
◈ জনগণ রায় দিলে ৫ বছরেই দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন করা সম্ভব: জামায়াত আমীর ◈ সহকারী শিক্ষকদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা ◈ রাতে ঢাকাবাসীর জন্য দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর ◈ ডাকসুর পর জাকসুতেও শিবিরের জয়জয়কার ◈ এআই মানবীকে মন্ত্রী বানিয়ে দিল বিশ্বের প্রথম দেশ আলবেনিয়া! ◈ জাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি কে এই আবদুর রশিদ জিতু ◈ কলকাতায় সাইনবোর্ডে বাংলায় নাম লেখা বাধ্যতামূলক, না মানলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারি মেয়রের ◈ জাকসুর ভিপি স্বতন্ত্রের জিতু, জিএস শিবিরের মাজহার ◈ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে: আলী রীয়াজ ◈ ভোলা মসজিদের খতিব ও ইসলামী বক্তা নোমানী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত সন্তান গ্রেপ্তার

প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৭:২১ বিকাল
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৯:২৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সুন্দরবনের উপকূল মোরেলগঞ্জে সুপারির বাম্পার ফলন: ১৬ কোটি টাকার উৎপাদন

এস. এম সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট প্রতিনিধি: বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের উপকূল ঘেঁষে থাকা বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা সুপারির জন্য সুপরিচিত। এখানকার মানুষের সারা বছরের আয়ের বড় একটি অংশ আসে সুপারি বিক্রি থেকে। এ বছর উপজেলায় সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ১৬ কোটি টাকা।

স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা জানান, মাটি ও আবহাওয়া সুপারি চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় প্রতিবছরই ভালো ফলন হয়। তবে চলতি মৌসুমে বাজারদর তুলনামূলক কম থাকায় হতাশ কৃষক, গৃহস্থ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

সুপারির বাণিজ্যিক বাজার

কালের পরিবর্তনে ধান ও পানের জায়গা দখল করে এখন লাভজনক কৃষিপণ্য হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে সুপারি। মোরেলগঞ্জ পৌরসভা ও উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নেই এর উৎপাদন হয়। এখানকার সুপারি মানসম্মত হওয়ায় স্থানীয়ভাবে গড়ে উঠেছে বড় বাজার।

প্রতি সপ্তাহে সোমবার ও শুক্রবার মোরেলগঞ্জ শহরে বসে সুপারির হাট। প্রতি হাটে প্রায় অর্ধকোটি টাকার সুপারি কেনাবেচা হয়। এখান থেকে ট্রলার ও ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়, এমনকি এলসির মাধ্যমে রপ্তানি হয় ভারতে।

দাম ও মৌসুম

সুপারির প্রধান দুটি মৌসুম—

  • শুকনো সুপারি: ফাল্গুন থেকে আষাঢ়
  • কাঁচা সুপারি: শ্রাবণ থেকে পৌষ

বর্তমানে এক কুড়ি (২১ ঘা বা ২১০টি) কাঁচা সুপারি বিক্রি হচ্ছে ৬০০–৭০০ টাকায়, যা আগের মৌসুমের চেয়ে কিছুটা বেশি।

কৃষকের প্রত্যাশা

মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, এ বছর সঠিক সময়ে পরিচর্যা করায় ফলন ভালো হয়েছে। উপজেলায় প্রায় ৬০০–৭০০ টন সুপারি উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দাম না থাকায় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা এখন হতাশ। আশ্বিন–কার্তিক মাসে দাম বাড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, উৎপাদিত সুপারির প্রায় ৬০ শতাংশ পানিভর্তি পাত্রে ভিজিয়ে সংরক্ষণ করা হয়, আর বাকি অংশ শুকিয়ে দেশজুড়ে সরবরাহ করা হয়।

এ বছর ফলনে সন্তুষ্ট হলেও সঠিক মূল্য না পাওয়ায় কৃষকদের মুখে শঙ্কা আর হতাশার ছাপ স্পষ্ট।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়