শিরোনাম
◈ জনগণ রায় দিলে ৫ বছরেই দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন করা সম্ভব: জামায়াত আমীর ◈ সহকারী শিক্ষকদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা ◈ রাতে ঢাকাবাসীর জন্য দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর ◈ ডাকসুর পর জাকসুতেও শিবিরের জয়জয়কার ◈ এআই মানবীকে মন্ত্রী বানিয়ে দিল বিশ্বের প্রথম দেশ আলবেনিয়া! ◈ জাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি কে এই আবদুর রশিদ জিতু ◈ কলকাতায় সাইনবোর্ডে বাংলায় নাম লেখা বাধ্যতামূলক, না মানলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারি মেয়রের ◈ জাকসুর ভিপি স্বতন্ত্রের জিতু, জিএস শিবিরের মাজহার ◈ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে: আলী রীয়াজ ◈ ভোলা মসজিদের খতিব ও ইসলামী বক্তা নোমানী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত সন্তান গ্রেপ্তার

প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৬:০৯ বিকাল
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

 বাগেরহাটের বেতিবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ধ্বংসপ্রায় ভবনে চলছে পাঠদান, আতঙ্কে শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা  

এস. এম সাইফুল ইসলাম কবির, জেলা প্রতিনিধি,বাগেরহাট: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল মৎস্যভান্ডার নামে খ্যাতবিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলের সুন্দরবনের বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বেতিবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বয়সের ভারে বিধ্বস্ত দুইকক্ষের ভবনটি। এক কক্ষের উপরে খোলা আকাশ। অন্যটির চালের টিন ছিঁড়ে ঝুলে পড়েছে। এই ঝুলে পড়া টিনের নিচে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। সামান্য বৃষ্টি হলেই ফুটো টিন দিয়ে গড়িয়ে পড়ে পানি। শিক্ষাথীদের বইখাতা ভিজে যায়। 

এছাড়া কক্ষের দেয়ালে ধরেছে ফাটল। মাঝে মধ্যে পলেস্তারা খসে পড়ছে। ব্যবহারের জন্য ভবনটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ। আর এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি। এভাবে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান অব্যাহত রাখলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। অপরদিকে, শ্রেণী কক্ষ সংকটে অন্য একটি ভবনে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা একটি রুমে পার্টিশন দিয়ে দুটি শ্রেণীর পাঠদান করছে। ওই ভবনটিও শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই শিক্ষার মানোন্নয়নে ওই স্কুলের শিক্ষার্থী-শিক্ষকেরা নতুন ভবন নির্মাণের দাবি করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২৪ নং বেতিবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি জাতীয়করণ হয় ১৯৮৪ সালে। প্রতিষ্ঠালগ্নে দুই কক্ষবিশিষ্ট টিনের ছাউনির এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়। সেই থেকে এ ভবনের একটি কক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও একটি কক্ষ বিদ্যালয়ের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ের অনেক জায়গায় দেয়ালে ফাটল ধরেছে। খসে পড়ছে পলেস্তারা। টিনের ছাউনি ছিঁড়ে ঝুলে পড়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। এ বিষয়ে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি।

বেতিবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী অনিক শেখ ও নুসরাত জাহান জানায়, ওই কক্ষে ক্লাস করতে তাদের ভয় লাগে। তাছাড়া সামান্য বিষ্টি হলেই পানি পড়ে বইখাতা ভিজে যায়।

মামুন ফরাজী ও সরোয়ার ফরাজী নামের দুই অভিভাবক বলেন, ‘এই বিদ্যালয়ে আমাদের সন্তান পড়াশোনা করে। বিদ্যালয়ের ভবন দুটি এমন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকি। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও কোন সুব্যবস্থা হচ্ছে না।’

বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মহসীন কাজী জানান, একদিকে শ্রেণী কক্ষের স্বল্পতার জন্য শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে বসতে হয়। যার জন্য পাঠদান ব্যাহত হয়। দুইটি ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক কবিতা রাণী মন্ডল বলেন, ‘আমার স্কুলে ১২২ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়েই ভবন দুটিতে শিক্ষকরা পাঠদান অব্যাহত রেখেছেন। এটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কারো কাম্য নয়। এ ছাড়া এখানে অনুমোদিত শিক্ষকের পোস্ট ৫ টি। কর্মরত আছেন ৩ জন। তার মধ্যে একজন ডেপুটিশনে এবং একজন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলে তারা শুধু আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন।’

চিতলমারী উপজেলা প্রাথমিক সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা (রহমতপুর ক্লাস্টার) মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, বিদ্যালয়ের ভবন দুটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা জরুরী ভিত্তিতে টিনশেড ঘরের জন্য দুইবার উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়