আকিদুল ইসলাম : তারেক মনোওয়ারকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও মিডিয়াতে ব্যাপক লেখালেখি ও তর্কবিতর্ক দেখে আমি তার অনেকগুলো ওয়াজ শুনলাম। আমার ব্যক্তিগত ধারণা হচ্ছে, তিনি চূড়ান্ত পর্যায়ের একজন মিথ্যাবাদী এবং ধুরন্দর। তারেক মনোওয়ারের ওয়াজ শুনে অধিকাংশ কথাই চাপাবাজি মনে হয়েছে। কয়েকটি উদাহরণ দিচ্ছি : ১ . আমি হেলিকপ্টারে উঠতে চাই না। এর থেকেও দ্রুতগামী রকেটে কয়েকবার চড়েছি। ২. ডোনাল্ড ট্র্যাম্প কয়েকবার আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছে, আমি দেখা করিনি। ৩. আমি অক্সফোর্ডে তিনবার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হয়েছি। আমার পরিবারকেও সেটা বলিনি।
আজ ফট করে বলে ফেললাম। ৪. ইংল্যান্ডে আমাকে লীগে খেলার জন্য পয়সা দিয়ে নিয়ে যেতো। ৫. ঢাকার ব্যাডমিন্টনের চ্যাম্পিয়নশিপের পুরস্কার আমার আছে। ৬. রাশিয়ার সেনারা আফগানিস্তানে যতো বোমা ফেলেছিলো তার একটাও ফোটেনি। সব বোমা সাদা পাজামা পাঞ্জাবি পরা ফেরেশতারা ধরে ধরে সমুদ্রের পানিতে ফেলে দিয়েছিলো। ৭. আইফোনের মালিক ‘বিল গেটসের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিলো। তাকে আমার গিরগিটি মনে হয়েছে। ৮. নাসা বলেছে, যে কোনোদিন যেকোনো সময় সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উঠতে পারে। ৯. ৬০ দশকের জনপ্রিয় একজন ব্রিটিশ মডেল আমার কাছে কলেমা পড়েছে। ১০. আমি ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডে গিয়ে বলেছি, ইংরেজি খুব দুর্বল একটি ভাষা।
শরীয়ত বয়াতিকে মিথ্যাচার আর ধর্মকে ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহার করার জন্য যারা তাকে রিমান্ডে নিয়েছেন, জেলে পাঠিয়েছেন তারা এখন কোথায়? তারেক মনোওয়ার যে সব কথা বলেছেন, যা নিয়ে তোলপাড় চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেসব কথার পক্ষে কি তথ্য-প্রমাণ আছে তার কাছে? তিনি আজ গোটা আলেম সমাজকে হাস্যকর করে তুলেছেন। ধর্মের মাহফিলে বসে যদি কেউ মনগড়া, কল্পকাহিনি বয়ান করেন, তাহলে তা ধর্মকেই প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়। একজন বয়াতি দরিদ্র বলে হাজত খাটবেন আর অন্যজন প্রতাপশালী বলে পার পেয়ে যাবেন, তা হতে পারে না। কারণ দুজনের অপরাধ একই রকম। ফেসবুক থেকে