সাইফুর রহমান : এর আগে ইউরোপিয় ইউনিয়নের ৭৫১ জন পার্লামেন্ট সদস্যের মধ্যে ৫৬০ জনই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং জম্মু-কাশ্মীর প্রসঙ্গে ৬টি বিরোধী প্রস্তাব পেশ করেন। আইনটিকে ‘বৈষম্যমূলক ও বিভাজন সৃষ্টিকারী আখ্যা দিয়ে প্রস্তাব পেশ করা হয় ইউরোপিয় পার্লামেন্টে। এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডে
এ প্রসঙ্গে পার্লামেন্টের বহু সদস্য উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘যে প্রক্রিয়ায় ভারত সরকার সিএএ কার্যকর করতে চাইছে তা গোটা বিশ্বে বৃহত্তরভাবে রাষ্ট্রহীনতার আশঙ্কা তৈরি করবে, যার কারণে বাড়বে মানুষের দুর্ভোগ।’
ইইউ ভারত সরকারের উদ্দেশে বলেছে, জাতি-বর্ণ-ধর্ম নির্বিশেষে সব নাগরিকের অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক আইন রয়েছে, ভারত যেনো তা মাথায় রাখে। সিএএ বিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে তাদের দাবি শোনার জন্য ইউরোপিয় ইউনিয়ন ভারত সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জানাতে পারে বলেও জানা গেছে।
ইউরোপিয় পার্লামেন্টর প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, সিএএ'র মাধ্যমে ভারতীয় সংবিধানের ১৪ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করা হয়েছে। এছাড়াও এটি ভারতের আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা ও চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। যার অধীনে জাতি, বর্ণ এবং জাতিগত উৎসের ভিত্তিতে বৈষম্য করা যায় না বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়াও সিএএ এবং এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভ দমনে পুলিশ নৃশংস পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে এর সুষ্ঠু তদন্তেরও দাবি জানানো হয়। যদিও ভারত সরকার ইতোমধ্যে ইউরোপিয় ইউনিয়নের উদ্বেগের বিষয়টিকে অভ্যন্তরীণ ইস্যু বলে এক বাক্যে খারিজ করে দেয়। সম্পাদনা : তন্নীমা আক্তার