নূর মাজিদ : গত সোমবার চীনা অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বরাদ্দের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সেখানে বলা হচ্ছে, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন যৌথভাবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বরাদ্দ দিয়েছে ৬ হাজার ৩৩ কোটি ইউয়ান বা ৮৭৪ কোটি মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ। বরাদ্দের বিষয়টি এমন সময় জানানো হলো যখন (গতকাল নাগাদ) এই সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা ৮১ জনে উন্নীত হয়েছে।
ইতিপূর্বে আরও সংক্রমণ ঠেকাতে দেশটির সরকার চীনা সংস্কৃতির বড় উৎসব নতুন চন্দ্রবর্ষ উদযাপনের দিনক্ষণও পেছায়। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়েও নেয়া হয়েছে অগ্রিম সতর্কতা। অনেক বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম বন্ধ করেছে বা কর্মীদের ঘরে থেকেই কাজ করার নির্দেশ দেয়। খবর : সিএনবিসি, রয়টার্স
এদিকে সোমবারেই চীনে নিজ সফরের বিষয়টি সবার আগে নিশ্চিত করেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-এর মহাপরিচালক ডা. টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসুস। গত রোববার এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি এখন বেজিং-এর পথে। সেখানে গিয়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে কাজ করে চলা দেশটির সরকারি কর্মকর্তা এবং শীর্ষ চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক হবে। ধারনা করা হচ্ছে চীনের পরিস্থিতি কতোটা নিয়ন্ত্রণে আছে তা পর্যবেক্ষণ করাই হু প্রধানের এই সফরের প্রধান লক্ষ্য।’
চীনে মৃতের সংখ্যাবৃদ্ধি এবং সেখান থেকে বিশ্বের আরও ১০টি দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পরেও হু একে বিশ্বস্বাস্থ্যের জন্য জরুরী অবস্থা ঘোষণা এখনও করেনি। করোনা ভাইরাস এর সং¯পর্শে আসা ব্যক্তিদের শ্বাসযন্ত্রে ক্ষতি করে প্রাথমিকভাবে সর্দি ও কাশির জন্ম দেয়। তবে এর ভয়াবহতা অন্যখানে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর উপশম না থাকায় উহান করোনা ভাইরাসে আক্রান্তরা ৪৮ ঘণ্টার মাঝেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
আপনার মতামত লিখুন :