শিরোনাম
◈ ভারত–বাংলাদেশ নিরাপত্তা সংলাপ: দুই দিনের বৈঠকে ‘ইতিবাচক বার্তা’ ◈ পেশাগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষেত্র নিরাপত্তায় বৈপ্লবিক অগ্রগতি—আইএলওর ১০টি মৌলিক দলিল অনুমোদন করলো বাংলাদেশ ◈ প্রবাসী ভোটারদের রেকর্ড সাড়া—পোস্টাল ভোট অ্যাপে কোরিয়া-জাপান এগিয়ে ◈ সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে সম্মতি খালেদা জিয়ার ◈ আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস ◈ চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে চুক্তির সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ ◈ শ্রীলঙ্কাকে ৬৭ রা‌নে হারা‌লো  জিম্বাবুয়ে  ◈ রায়ের পর হাসিনাকে ফেরত দেয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে ◈ রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি, চার মাসে এলো এক লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকা ◈ প্রবাসী ভোটারদের সতর্কতা: ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর না দিলে পোস্টাল ভোট বাতিল

প্রকাশিত : ২৭ জানুয়ারী, ২০২০, ০৮:০৮ সকাল
আপডেট : ২৭ জানুয়ারী, ২০২০, ০৮:০৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

২৭ বছরে ২৫ হাজার বেওয়ারিশ মৃতদেহ দাফন ও সৎকার করে ভারতের আলোচিত শরিফ চাচা পদ্মশ্রী পাচ্ছেন

আক্তারুজ্জামান : মোহাম্মদ শরিফের বয়স ৮০ পেরিয়েছে আরও দুবছর আগে। কিন্তু মানবসেবায় নিজেকে ব্রত করেছিলেন আরও ২৭ বছর আগে। ৫৫ বছর বয়স থেকে বেওয়ারিশ লাশ দাফন ও সৎকার করার কাজ করছিলেন আলোচিত শরিফ চাচা। এই সময়ের মধ্যে ২৫ হাজারেরও বেশি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের লাশ সৎকার করেছেন তিনি।  নিরলস এই সেবার জন্যেই এবার ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব পদ্মশ্রী পুরস্কার পাচ্ছেন শরিফ চানা। খবর : আনন্দবাজার ও লাইভ হিন্দুস্তান।

উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদের পরিচিত মুখ শরিফ। সকলেরই তিনি শরিফ চাচা। পেশায় সাইকেল মেকানিক। কিন্তু নেশা সৎকারের। ১৯৯২ সালে ২৫ বছরের তরতাজা ছেলে মারা যাওয়া পরে এই কাজ শুরু করেন মোহাম্মদ শরিফ। এখন সেই কাজ চলছে।

এক সর্বভারতীয় গণমাধ্যমকে শরিফ বলেন, ‘‘২৭ বছর আগে আমার ছেলে মোহাম্মদ রইস খান নিখোঁজ হয়। ও সুলতানপুরে গিয়েছিল কেমিস্টের চাকরি নিয়ে। এক মাস পরে ওর পচাগলা লাশ উদ্ধার হয়। খুন করা হয়েছিল ওকে। ওর লাশটা দেখে স্থির করি, কোনো মানুষকে মৃত্যুর পরে এ ভাবে এই অসম্মানিত হতে দেব না।

হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদ নেই মোহাম্মদ শরিফের মনে। তিনি নিজেই বলছেন, ‘‘নিজে হাতে অন্তত ৩০০০ হিন্দুকে দাহ করেছি নিয়ম মেনে।’’ পুলিশ স্টেশন হাসপাতাল সর্বত্র অবাধ যাতায়াত শরিফের। মৃত্যুর ৭২ ঘণ্টা পরে সেই লাশ দাবি করতে কেউ না এলেই ডাক পড়ে শরিফের। তিনি এসে লাশগুলো নিয়ে যান যথাস্থানে।

একটি লাশ কবর দেয়ার খরচ ৫০০০ রুপি। দাহ করতেও লাগে অন্তত ৩৫০০ রুপ। সেই টাকা জোগাড় হয় কী ভাবে? শরিফ জানাচ্ছেন, কবরস্থানে হোক বা শ্মশানে , অজস্র বন্ধু রয়েছে তার। কেউ তার থেকে টাকা তো চাননি না উপরন্তু সাহায্য করেন নানাভাবে।

শুধু মৃত মানুষের অন্ত্যেষ্টি নয়, জীবন বাঁচানোর রেকর্ডও রয়েছে শরিফের। ফৈজাবাদ-লখনউয়ে একটি জিপ উল্টে একই পরিবারের কয়েকজন মারা যায় দিন কয়েক আগে। একমাত্র জীবিত সদস্যকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন শরিফ। এই অনন্য মানবিকতারই পুরস্কার পাচ্ছেন শরিফ। খুশি তার আত্মীয় বন্ধুরা। মৃত ছেলের মুখ মনে করে শরিফের চোখে পানি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়