শিরোনাম
◈ যেসব এলাকায় বুধবার বিদ্যুৎ থাকবে না জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি ◈ ব্যাটারি চালিত রিকশা বন্ধে কড়া বার্তা: তিন রিকশা ভাঙচুর, চালকদের ক্ষতিপূরণ ও বিকল্প আয়ের আশ্বাস ◈ যে কারণে বাংলাদেশে বিমানবন্দরে আটকানো হয়েছিলো কলকাতার অভিনেতা শাশ্বতকে! (ভিডিও) ◈ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টি পুরোপুরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার : প্রেস সচিব ◈ আ. লীগের নিবন্ধন বাতিলের পর সম্পদ বাজেয়াপ্তের দাবি উঠেছে, নেতারা এখন কি করবে?  ◈ প‌রি‌স্থি‌তি স্বাভা‌বিক, পাকিস্তান-বাংলাদেশ সিরিজের নতুন সূচি প্রকাশ ◈ ভারত আবার বাড়াবা‌ড়ি কর‌লে আমরা চুপ থাকবো না: শহীদ আফ্রিদি ◈ ভারত শাসিত কাশ্মীরে আবারও বন্দুকযুদ্ধ, নিহত ৩ ◈ মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু! দেশের এক ইঞ্চি মাটি ও ছেড়ে দেবো না: বিজিবি (ভিডিও) ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ আন্দোলনের পর এনসিপি-জামায়াত বিভক্তি: শাহবাগে জাতীয় সংগীত ও বিতর্কিত স্লোগান ঘিরে তুমুল বিতণ্ডা

প্রকাশিত : ২৫ জানুয়ারী, ২০২০, ১১:৪৭ দুপুর
আপডেট : ২৫ জানুয়ারী, ২০২০, ১১:৪৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নতুন নাম ও রূপ ধারণ করেছে এমএলএম ব্যবসা

বণিকবার্তা : অস্বাভাবিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে দুই দশক আগে হাজির হয়েছিল মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানি ‘ডেসটিনি ২০০০’। এরপর ইউনিপেটুইউ। অল্প সময়ের মধ্যে নেটওয়ার্কিং স¤প্রসারণ করে গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় এ দুই প্রতিষ্ঠান। গ্রাহক প্রতারণার বিষয়টি প্রকাশ হলে কড়াকড়ি আসে এমএলএম ব্যবসায়। প্রণয়ন হয় মাল্টি লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম (নিয়ন্ত্রণ) আইন। এরপর শুরু হয় প্রতারণার নতুন রূপ। কখনো ক্ষুদ্র ঋণ, কখনো কো-অপারেটিভ সোসাইটি বা কো-অপারেটিভ ব্যাংক, আবার কখনো মাল্টিপারপাস সোসাইটি—নানা নামে শুরু হয় আর্থিক প্রতারণা। যা এখনো চলছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য বলছে, থানায় নিবন্ধিত মামলার ভিকটিমদের ৩৪ দশমিক ৪ শতাংশই আর্থিক প্রতারণার শিকার। যাদের বড় অংশ অস্বাভাবিক লাভের প্রলোভনে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন।

ডেসটিনি, ইউনিপেটুইউর মতো প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতের পর এমএলএম নিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে চরম আস্থার সংকট তৈরি হলেও নানা কৌশলে কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে অন্তত দুই ডজন প্রতিষ্ঠান। এমন একটি প্রতিষ্ঠান লাইফওয়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড। ২০১৬ সালের দিকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নতুন ধারার এমএলএম ব্যবসা ফেঁদেছে প্রতিষ্ঠানটি। বেকার যুবকদের সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণের পর আকর্ষণীয় বেতনের চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রæতি দেয় তারা। এজন্য জামানত হিসেবে প্রত্যেকের কাছ থেকে নেয়া হয় ৫০ হাজার টাকা করে। জামানতের বিপরীতে যে নিয়োগপত্র দেয়া হয়, সেখানে উল্লেখ থাকে, ওই টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ক্রয় করেছেন গ্রাহক।

গ্রাহকরা জানান, প্রশিক্ষণে মূলত কীভাবে আরো সদস্য সংগ্রহ করে কমিশন পাওয়া যাবে এবং কীভাবে তাদের মোটিভেট করতে হবে, সে বিষয়ে জানানো হয়। প্রশিক্ষণ শেষে যারা সদস্য সংগ্রহ করতে পারেন, তাদের ২০ শতাংশ হারে কমিশন দেয়া হয়। আর যারা সদস্য সংগ্রহ করতে পারেন না, তাদের কিছু ইলেকট্রনিক পণ্য দিয়ে সেগুলো বিক্রি করে টাকা আনতে বলা হয়। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি চাকরির জামানতের কথা বলে গ্রাহকের কাছ দেড় হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

প্রায় একই অভিযোগ রয়েছে, দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেড, প্রাইম মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড, চলন্তিকা যুব সোসাইটি, রূপসা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটিসহ নতুন নাম ও রূপ ধারণ করা এমএলএম প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। অনুলিখন : মাজহারুল ইসলাম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়